মো. হাছান, মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা)
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা নাথেরপেটুয়া অপরিকল্পিত মাছের আড়ৎ হওয়ায় বায়ুদূষণের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ বাজারের শতশত ব্যবসায়ী।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা নাথেরপেটুয়া বাজারে মাছ আড়ৎদারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাজারের শত শত ব্যবসায়ী, প্রশাসনের কাছে বার বার অভিযোগ করেও পায়নি কোন সমাধান। মাত্র ৮ জন আড়ৎ ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের কাছে হার মানছে শত শত ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন কয়েক টন মাছ আড়তে আসায় পানি জমাট বেঁধে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।
দুর্গন্ধে ব্যবসায়ীরা কেউ করছে দোকান বন্ধ কেউ ছাড়ছে দোকানঘর। উপজেলা সব চেয়ে বড় মাছের আড়ৎ হচ্ছে নাথেরপেটুয়া বাজার, প্রতিদিন ভোর ৪টার পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দশ পনেরো টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আড়তে আসে। দেখে বুঝা যায় পুরা বাজরটা যেন মাছের আড়ৎ।
ভুক্তভোগীরা হলেন- মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা আবদুল কাইয়ূম, হাজী জয়নাল আবেদীন, ফিরোজ উদ্দিন, মো. ইউছুফ, নুর হোসেন, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কবির, জামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অনেকে।
তাদের দাবি, আমাদের এ বাজারে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীদের কমপক্ষে দুইশত দোকানঘর রয়েছে কয়েকটি মাছের আড়ৎদারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সকল ব্যবসায়ী। তারা আরও জানান, কয়েক মাস যেতে না যেতে নষ্ট হচ্ছে দোকানের সাটার, তালা।
বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের কাছে গিয়েও পাইনি কোন সমাধান। পরে বাজার সকল ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি মানবাধিকার সংস্থার সহযোগিতা তাদের প্যাডে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করি। আমাদের সকল ব্যবসায়ী দাবি এ মাছের আড়ৎটি অন্য জাগায় যেন স্থানান্তর করা হয়।
নাথেরপেটুয়া বাজার কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেছেন, আমি এ মাছের আড়ৎটি অন্য জাগায় স্থানান্তরের জন্য চেষ্টা করেছি। কোনো এক অপশক্তির কারণে বাজারটি স্থানান্তর করতে পারিনি।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম কমলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড