বিষাক্ত কেমিক্যাল-বর্জ্য নদীতে নিষ্কাশন বন্ধ ও ক্ষতিপূরণের দাবি 

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সোনকা এলাকায় অবস্থিত মজুমদার ফুড প্রোডাক্টন ও এস. আর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বর্জ্য ফুলজোর নদীতে (নলকা, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ) নিষ্কাশন বন্ধ ও নিষ্কাশনের কারণে নদীর সমস্ত মাছ ও জলজপ্রানী মারা যায় মারা যায় এবং নদীতে ৭০ জন খাঁচায় মৎস্য চাষির প্রায় ১৪ কোটি টাকার মাছ মারা যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি ও এলাকাবাসীর ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় খাঁচায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে ও রায়গঞ্জ উপজেলার হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়কের সাহেবগঞ্জ বাজারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- বগুড়ার শেরপুরের সোনকায় অবস্থিত মজুমদার ফুড প্রোডাক্টন ও এস. আর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বর্জ্য পাইপের মাধ্যমে নিষ্কাশন ও ডামে বর্জ্য উঠিয়ে গাড়ির মাধ্যমে নদীতে ডাম্পিং করে আসছে। বর্জ্য নিষ্কাশন ও বিষাক্ত কেমিক্যাল ডাম্পিং করার কারণে নদীর পানির রং নীল বর্ণ হয়ে বিষাক্ত হয়েছে। বিষাক্ত পানির কারণে ৭০ জন চাষির ২৫'শ খাঁচায় মাছ সহ নদীর প্রাকৃতিক সকল মাছ মারা গেছে।

তাড়া আরও বলেন- বর্তমানে নদীতে মানুষতো দূরের কথা জীবজন্তু, হাঁস মুরগি, গরু ছাগল নদীতে নামতে পারে না। নদীতে গোসল করার কারণে তীরবর্তী এলাকার মানুষের চর্ম রোগসহ পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। ফুলজোর নদীতে বর্জ্য ও কেমিক্যাল নিষ্কাশনের ফলে শেরপুর থেকে নদীর ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে দূষিত হয়েছে।

নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিকর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- নলকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কাওসার হেসেন, ইউপি সদস্য গাজী আব্দুর রহমান, মৎস্য চাষি শহিদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান মিঠু, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা মিয়া প্রমুখ।

সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রউফের পরিচালনায় মৎস্যচাষি আল মামুন খান, বরত চন্দ্র সাহা, জহুরুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, আব্দুল মতিন সরকার, নলকা ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে ক্ষতিগ্রস্তরা। ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভে মহাসড়কে সকল গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।