কাজী শাহরিয়ার রুবেল, আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের সাত হাজার মানুষের চলাচলের জন্য দুটি রাস্তা নতুন মাটির নির্মাণ করা হয়। ওই গ্রামগুলো পত্তনের ৫০ বছর পর তাদের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তা পেয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ হলো।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা, দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী, আমতলী ও উর্সিতলা গ্রামে প্রায় সাত হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু যাতায়াতের জন্য গ্রামবাসীর ছিল না কোনো সু-ব্যবস্থা। শুকনো ও ব মৌসুমে পরিবারগুলোর যাতায়াতের পথ ছিল জমির আইল।
ওই ৪টি গ্রামে বসবাসকারীদের কষ্ট লাগবে যাতায়াতের পথ সহজ করণের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি ২য় পর্যায়ে প্রকল্পের অধীনে দক্ষিণ-পশ্চিম আমতলী গ্রামের আলমগীর শিকদারের বাড়ি থেকে পবনের বাড়ি পর্যন্ত দের কিলোমিটার মাটির রাস্তা নির্মাণ ও চলাভাঙ্গা নাদের তালুকদার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের ব্রিজ থেকে আর্শ্বেদ হাজী বাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার মাটির রাস্তা নির্মাণ। সাড়ে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুটি মাটির রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে ওই ৪ গ্রামের সাত হাজার মানুষের কষ্ট দূর হয়েছে এবং তারা বেশ খুশি বলে জানিয়েছে।
চলাভাঙ্গা ও দক্ষিণ-পশ্চিম আমতলী গ্রামের বাসিন্দা খবির তালুকদার, সোলায়মান, নিজাম উদ্দিন, কলেজ শিক্ষার্থী রাকিব ও মনিরা সুলতানা জানান, গত ৫০ বছর পূর্বে তাদের পূর্ব পুরুষরা ওই গ্রামগুলোতে বসতি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। তাদের যাতায়াতের জন্য ছিল না কোনো রাস্তা। এমনকি বিলের মধ্যে দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা কষ্টকর হওয়ায় কোনো জনপ্রতিনিধিই এতদিন এগিয়ে আসেননি।
আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধার কাছে বিলের মধ্যে দিয়ে রাস্তা নির্মাণের দাবি করেন ওই ৪ গ্রামের ভুক্তভোগী মানুষ। শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সাড়ে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুটি মাটির রাস্তা তিনি নির্মাণ করে দেন।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বেলা ১১টায় আমতলী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল হোসাইন ভুক্তভোগী গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে নির্মাণকৃত নতুন রাস্তা দুটির কাজ পরিদর্শন করেন।
ওই বিষয়ে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, তার ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম আমতলী, আমতলী ও উর্সিতলা গ্রামে প্রায় এক হাজার পরিবার দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় যাবত বসবাস করে আসছে। এতদিন পরিবারগুলোও গ্রামের মূল সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। তাই ওই পরিবারগুলোকে গ্রামের মূল সড়কের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড