• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইউপি চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় এলাকায় অবাধে চাঁদাবাজি

  রাকিব হাসনাত, পাবনা

২৮ মে ২০২৩, ১৫:২৭
ইউপি চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় এলাকায় অবাধে চাঁদাবাজি

পাবনার বেড়ার আমিনপুরের ঢালারচরে জমিতে বিরোধ দেখিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কোরবান আলী সরদারের ছত্রছায়ায় তার লোকজনদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোরবান আলী সরদার। তার দাবি- জমিজমা সংক্রান্তের বিরোধের জের ধরে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঢালারচরের রামনারায়ণপুর ও কোমরপুর মৌজার সীমানার বেশ কয়েকজনের জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এতে হস্তক্ষেপ করেন ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোরবান আলী সরদার ও তার লোকজন। খাস জমি দাবি করে এলাকাবাসীর সরলতার সুযোগ নিয়ে এবং বাড়িঘর উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে একাধিক জনের কাছে চাঁদা দাবি করেন আকরাম ফকির, কালাম ফকির, শুকুর ফকির, মোকলেস ফকিরসহ চেয়ারম্যানের লোকজন।

চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় স্থানীয় জলিল মণ্ডল ও তার ছেলেদের মারধরও করা হয়েছে। এছাড়াও অনেকের কৃষি জমিতে সেচ কাজে বাধা, গাড়ি চালাতে বাধা ও হুমকি দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

সাংবাদিকদের এলাকাবাসী বলেন, আমরা ৩০-৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। হঠাৎ চেয়ারম্যানের লোকজন এসে মৌজার সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে অনেকের বাড়িঘর ভাঙতে বলেন। তা নাহলে আমাদের বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১ থেকে ২-৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমরা কৃষক, আমরা টাকা কোথায় পাবো? কৃষি কাজ ও দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়। চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের রাস্তা-ঘাটে যেতে দিচ্ছে না। কৃষি কাজও করতে দিচ্ছে না। চেয়ারম্যানই যদি এইসব করেন- তাহলে আমরা কোথায় যাবো? কার কাছে বিচার দেবো?

তবে এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কোরবান আলী সরদার বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সেখানে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছে একটি পক্ষ।

তিনি আরও বলেন, এক সময় ঢালারচর আতঙ্কে জনপদ ছিল। রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা ছিল। কিন্তু আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর সব পাল্টিয়েছি। এই সবের হিংসের প্রতিফলন হিসেবে আমাকে সামাজিকভাবে হেনেস্থা করতে এইসব অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, জমিজমা নিয়ে সেখানে একটা ঝামেলা আছে। এ বিষয়ে কোর্টে মামলাও হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এখন চাঁদাবাজি কি-না সেটা তদন্তের পর বলা যাবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড