বিএনপিকে কোনো ক্রমেই ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য আহ্বান জানিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা আ. লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশী বলেছেন, বিএনপিকে আর কোনক্রমেই ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। তাই সকলকে সুসংগঠিত হয়ে সজাগ থেকে ও দলীয় কর্মসূচি গুলোতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।

আজ সোমবার (২২ মে) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিএনপির জনসভায় প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সারাদেশের মতো ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশী বলেন, বিএনপি ক্ষমতা থাকার সময় বাংলাদেশ কিভাবে লুটপাট হয়েছে ও অন্যায় এবং নির্যাতন করেছে তারা যানে। তারা আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে বিভাবে হত্যা করেছে গুম করেছে। ১৪ বছরে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের যে ধারা অব্যাহত আছে। তা বিশ্ব দরবারে চিহ্নিত হয়েছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা।

তিনি আরও বলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ১৯৭৫ ও ১৫ আগস্ট এবং ৭১ এর পরাজিত শক্তি। তারা জানতে ও বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশের মানুষ আর তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে না। তাই তারা বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে ধর্না দিয়ে ষড়যন্ত্র করে আবার হত্যার রাজনীতি করে কিভাবে ক্ষমতায় আসা যায় সেই রাস্তায় ঝুঁকছেন।

বিএনপিকে চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ৭১ এর এবং ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করে ক্ষমতায় আসার যে প্রক্রিয়া করছিল তারা সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে এখনো আছেন। তারা হেদায়েত ও সংশোধন হননি। চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী।

হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলার এই নেতা আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করছেন। সে সময় এখনকার মতো মানুষ সুসংগঠিত ছিলনা। তাই আকস্মিকভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন। আজকে আমরা আওয়ামী লীগের প্রতিটি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আর কোনো ষড়যন্ত্রে আপনাদের কাজ হবে না।

রাজশাহীর বিএনপির নেতা আবু সাঈদ চাঁদ আবোল-তাবোল কথা বলে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন বলে উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলে আপনারা ঘর থেকে বেড় হতে পারবেন না। আ. লীগ আর আপনাদের ছাড় দেবে না।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপিকে আর কোনো ক্রমেই ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। তাই সকলকে দলীয় কর্মসূচি গুলোতে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।

দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আগের স্থানে এসে শেষ হয়।

পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ সহ বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশী, সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আ.স.ম গোলাম ফারুক রুবেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, জেলা আওয়ামী লীগের জনকল্যাণ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, জেলা যুবলীগের সভাপতি সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলো, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুনাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার, ছাত্রলীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা অবিলম্বে বিএনপির নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।