কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার ওসি বাবুল আক্তার বিভিন্ন মৎস্য ডিপোতে চিংড়িতে পুশ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছেন। দেবহাটা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ বাবুল আক্তার আজ রবিবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পারুলিয়া ও গাজীরহাটসহ বিভিন্ন মৎস্য ডিপোতে বাগদা ও গলদা চিংড়িতে পুশ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। সাদা সোনা খ্যাত দেবহাটায় রফতানিযোগ্য চিংড়িতে অবাধে অপদ্রব্য পুশ করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। গলদা ও বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের ঘটনা যেন দিনদিন বেড়েই চলেছে। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছেনা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের। বেশিরভাগ সময়ে অপদ্রব্য পুশকৃত গলদা ও বাগদা চিংড়ির চালান প্রশাসনের নাগাল টপকে রফতানি হচ্ছে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। এতে করে দিনদিন বিশ্ববাজারে সুনাম ও ঐতিহ্য হারাচ্ছে সাতক্ষীরার চিংড়ি, মাঝেমধ্যে রফতানিতে পড়ছে নিষেধাজ্ঞা। আর তাতে ব্যাপক হারে হচ্ছে দরপতন হচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য মতে জানা গেছে, সিরিঞ্জ ও সুঁইয়ের মাধ্যমে রফতানিযোগ্য চিংড়িতে জেলি, সাগুদানা, ফিটকিরি’র মিশ্রণ, পানিতে ভেজানো চিড়া ও ভাতের মিশ্রণ ইনজেক্ট করে চিংড়ির ওজন ও সাইজ বৃদ্ধি করে গ্রেড অনুসারে চড়া দামে বিক্রি ও রফতানি করে মোটা টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। উপজেলার গাজীরহাট মৎস্য সেড, শশাডাঙ্গা মৎস্য সেড, পারুলিয়া মৎস্য সেডের পাশের কয়েকটি এলাকা এখন অসাধু ব্যবসায়ীদের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। দেবহাটা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ বাবুল আক্তার বলেন, সাদা সোনা খ্যাত এই চিংড়ি রফতানি করে দেশ বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। কয়েকজন অসাধু ব্যক্তির কারণে সেটা নষ্ট হোক সেটা কোনো মতে কাম্য নয়। ওসি বলেন, এ ধরনের অপকর্ম বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড