সুমন খান, লালমনিরহাট
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
গত ১৫ মে এমন ঘটনাটি উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যে গোপালরায় এলাকায় ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
রবিবার (২১ মে) ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ মধ্যে গোপালরায় এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলের সাথে জামালপুর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে ঘর সংসার করা অবস্থায় দুই মেয়ে ও এক সন্তানের মা হন তিনি।
এরপর ২০০৮ সালে সুকৌশলে ওই গৃহবধূর স্বামী একরামুলকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন তার স্বামীর আপন বড় ভাই রুহুল আমিন। পরবর্তীকালে নিখোঁজ হন স্বামী একরামুল হক। নিখোঁজের পর ওই গৃহবধূকে জানিয়ে দেন তার স্বামী মারা গেছেন। আজ ১৫ বছর ধরে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান না পাওয়ায় সন্তানদের নিয়ে স্বামীর বসতভিটায় কোনো রকম জীবনযাপন করেন ওই গৃহবধূ।
এরই সুযোগে বিভিন্ন সময় ভাসুর রুহুল আমিন টাকা-পয়সাসহ বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এরই এক পর্যায়ে গত ১৫ মে গভীর রাতে ভাসুর রুহুল আমিন ওই গৃহবধূর শয়ন ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এ বিষয় ওই গৃহবধূ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, রুহুল আমিন মেম্বার আমার ভাসুর আমার জীবিত স্বামীকে মৃত বলে ঘোষণা করে আমার কাছ থেকে আমার স্বামীকে কেড়ে নিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়েছেন। ১৫ বছর ধরে স্বামী না থাকায় সন্তানদের নিয়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছি। গত ১৫ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার ভাসুর আমার ঘুমের ঘরে এসে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় আমার চিৎকারে আমার সন্তানরা ঘুম থেকে জেগে উঠে আমাকে রক্ষা করে।
অভিযোগ দায়েরের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১৯ মে সকালে ওই গৃহবধূর ভাসুর রুহুল মেম্বার, শাহিদা, শাপলা, শেফালী, সাইদুল, ভাসুর আমিনুর, নারজিনা, শ্যামলী, ভাসুর নুরু এবং ময়না সকলে মিলে হামলা চালিয়ে গৃহবধূর সন্তানদেরসহ তাকে মারপিট করেন। বর্তমানে তিনি সন্তানদেরসহ কালীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয় অভিযুক্ত ভাসুর রুহুল আমিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ধর্ষণ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তবে মারধরের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমান ওই গৃহবধূর অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড