মো. মাহাবুবুর রহমান রানা, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার দরগ্রাম শিমুলিয়া গজীখালী নদীর উপর নির্মিত সেতুটি হুমকির মুখে। সেতুটির মধ্যবর্তী স্থানের পিলারের গুরার মাটি সরে যাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে সেতুটি।
গাজীকালী নদীর উপর নির্মিত ১০০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন জেলাসহ দক্ষিণ অঞ্চলের হাজারো মানুষের চলাচল। সেতু দিয়ে চলাচল করে শতশত যানবাহন। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই সংস্কার করার দাবি জানান স্থানীয় লোকজন।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাটুরিয়ার দরগ্রাম শিমুলিয়ার গাজীখালী নদীর উপর ১০০ দীর্ঘ সেতুটি নির্মিত হয় ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে। এতে প্রায় ব্যয় হয় দুই কোটি ৯৬ হাজার টাকা। এতে অর্থায়ন করে জিওবি, এডিপি, কেএফ ডাব্লিও ও জিটি জেট।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেতুর পিলারের নিচ থেকে মাটি উত্তোলন করার করণে তিন নম্বর পিলারের মাটি সরে গিয়ে পাইলিং বের হয়ে ছয় থেকে আট ফুট মাটি সরে গেছে।
স্থানীয়রা আরও বলেন- গত বর্ষা মৌসুমে সেতুর নিচে ঘূর্ণিপাক বেশি হওয়ায় মাটি সরে গিয়ে গভীরতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেতুটির পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দরগ্রাম শিমুলিয়া গাজীখালী নদীর উপর সেতু দিয়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন যানবাহনে মাধ্যমে। মানিকগঞ্জ জেলার সাথে একমাত্র এই সেতু দিয়ে এসব এলাকার মানুষের সেতু বন্ধন। সেতুর পিলারে মাটি সরে যাওয়ায় বড় ধরণের যানবাহন সেতুতে উঠলে সেতু কেঁপে উঠেন বলে জানান গাড়ির চালকরা।
সেতু সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাসমত আলী জানান, গত বছর সামান্য বন্যার পানি আসলে সেতুর নিচে বেশি হয়ে ঘূর্ণিপাকের সৃষ্টি হয়। এছাড়া প্রতি বছরই সেতুর নিচ থেকে ড্রেজার বসিয়ে মাটি খেকুরা মাটি উত্তোলন করে সেতুর নিচ থেকে। এতে সেতুর মাঝখানের তিন নম্বর পিলারের মাটি সরে গিয়ে পাইলিং বের হয়ে যায়। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে সেতুটি। সেতুর নিচের পিলারের মাটি এক বছর আগে সরে গেলেও সেতু রক্ষণাবেক্ষণকারীরা সংস্কারের উদ্যোগ নেননি।
সেতুর ওপারের ছাহেরা বেগম বলেন, সেতুর নিচে কোমের সৃষ্টি হয়েছে। তার আগের পিলারের নিচে থেকে মাটি তোলা হয়েছিল। সে কারণে বর্ষার পানি এলেই ওখানে ঘূর্ণিপাকের সৃষ্টি হয়।ঘূর্ণিপাকের কারণে পিলারের মাটি বের হয়ে এখন পাইলিংয়ের প্রায় ১০ ফুট নিচে থেকে মাটি সরে গেছে। ফলে হুমকির মুখে পরেছে সেতুটি।
দরগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলিনুর বকস রতন বলেন, জেলার সাথে একমাত্র যোগাযোগ সেতু এটি। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৩০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাবে। সেতু নিজ থেকে যারা মাটি লুটে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশল মো. নাজমুল করিম বলেন, সেতুর নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে পাইলিং বের হয়ে গেছে তা আমার জানা নেই। ঘটনাটি জানলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হতো। তবে কি কারণে মাটি সরে গেছে তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড