আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে এক ক্লিনিক মালিকের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় ছয়জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মো. জাহিদ হোসেন নামে ওই ক্লিনিক মালিক গত রবিবার রাতে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত এলাকার মো. শাহিন রেজা (৩৫), ফিলিপনগর দফাদার পাড়ার মো. ওয়াজেদ আলী (৩৮) ও নতুন বাগুয়ান গ্রামের আবুল বাসারসহ (৪২) আরও ২-৩জন সংঘবদ্ধ হয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গত ৯ মে দুপুরে ভাগজোত মধ্যবাজার এলাকায় ‘আল মক্কা’ নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে প্রবেশ করে।
এ সময় তারা ওই ক্লিনিকে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছে বলে ক্লিনিকের অফিসের কাগজপত্র, বিভিন্ন কক্ষের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র তছনছ করে এবং ভিডিয়ো ধারণ করে সংবাদ প্রকাশ করবো বলে ক্লিনিক মালিক মো. জাহিদ হোসেনকে অশ্লীল ভাষায় গাল মন্দ ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। পরে তারা ক্লিনিক মালিক মো. জাহিদ হোসেনের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা অব্যাহতভাবে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনায় ক্লিনিক মালিক মো. জাহিদ হোসেন বাদী হয়ে রবিবার রাতে কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মো. শাহিন রেজা, মো. ওয়াজেদ আলী ও আবুল বাসারসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের নামে দৌলতপুর এজাহার দেন।
দৌলতপুর থানা পুলিশ এজাহারটি আমলে নিয়ে রোববার গভীর রাতে ৩৮৫/৫০৬/৩৪ পেনাল কোডে চাঁদাবাজির মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন যার নং-২৮।
যদিও এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে গাঢাকা দেওয়ায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মামলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, মো. জাহিদ হোসেন নামে এক ক্লিনিক মালিকের দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও উল্লেখিত মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে ভুক্তভোগী সবুজ হোসেনসহ অনেকে জানিয়েছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড