এম.কামাল উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার (রাঙামাটি)
প্রচন্ড গরম ও তাপদাহে দিশেহারা মানুষ,ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট রাঙামাটিবাসী। গত এক সপ্তাহ ধরে সীমাহীন ও প্রচন্ড তাপদাহে মানুষ পানিতে ঝাপ দেওয়ার মত উপক্রম হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ লোডশেডিং।
রাঙামাটি শহর এবং শহরের বাহিরে অতিমাত্রায় লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। এতে জনবীজনে চরম অশান্তি দেখা দিয়েছে। তাপ দাহ গরমে অতিষ্ট মানুষ। গরমে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগ বালাই।
এদিকে তীব্র গরম পড়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ লোডশেডিং। নিয়মিত বিদ্যুৎ সেবা না থাকায় গরমে শিশু, বয়স্কসহ সব ধরনের মানুষের ডায়রিয়া,সর্দি কাশিসহ নানান রোগ দেখা দিয়েছে। রাঙামাটি সদর হাসপাতালে রোগি ধরছে না। বেডের বাহিরেও ফ্লোরে রোগি শুয়ে আছে। হাসপাতালেও নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকে না। রোগিরা চরম কষ্টে দিনতিপাত করছে।
অপরদিকে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, যখন তখন, রাত-দুপুরে সময়,অসময় কোন নিদিষ্ট সময় নাই বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের। তাদের মনে যখন চায় তখনই লোডশেডিং দিয়ে দেয় বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ।
দেখা গেছে,বনরুপা এলাকায় সারা রাত বিদ্যুৎ আছে কিন্তু পাশের এলাকা চম্পক নগর রাতের ২টা বাজে ও বিদ্যুৎ নাই।আবার সকালে ভোরেও বিদ্যুৎ নাই। এসব বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কারসাজি বলে জানান বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। মানুষের প্রয়োজনে বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ বিভাগের প্রয়োজনের বিদ্যুৎ দেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন সংকট তাই চাহিদা কম। এখানে বিতরণ বিভাগ কি করবে। আমাদের চাহিদা ১৬ মেগ ওয়ার্ড সেখানে আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি ৪-৫ মেগ ওয়ার্ড। তাই প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় ফিটার বদলাতে হচ্ছে। ৪-৫ মেগ ওয়ার্ড বিদ্যুৎ ১১টি ফিটারে রদবদল করে চালাতে হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ তো কার সাথে ব্যক্তিগত শত্রুতা নাই।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড