• রোববার, ০৪ জুন ২০২৩, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ক্যাথেটার ঝুলিয়ে মাদকের কারবার!

‘চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে মাঝে মাঝে ইয়াবা বেচি’

চালানসহ ধরেও আসামি ছেড়ে দিল পুলিশ

  সাইদুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

০৯ মে ২০২৩, ১৪:৫৭
‘চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে মাঝে মাঝে ইয়াবা বেচি’
অভিযুক্ত মাদক কারবারি (ছবি : অধিকার)

হাতে নাতে ৫০ পিস ইয়াবাসহ চিহ্নিত এক মাদক কারবারিকে আটক করেও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রূপগঞ্জ থানার এসআই মির্জা শহিদুল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্সদের বিরুদ্ধে। অজুহাত মাদক কারবারি নিজে একজন রোগী আর ক্যাথেটার ঝুলানো।

অভিযোগ রয়েছে- রোগী সেজে অভিনব কায়দায় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মাদক বিক্রি করে আসছে আলী হোসেন (৫০)। গত (৮ মে) সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাড়িয়াছনি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আলী হোসেন বাড়িয়াছনি এলাকার ইসমত আলীর ছেলে।

স্থানীয়দের অভিযোগ- আলী হোসেন দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এ এলাকায় মাদকের কারবার করে আসছে। একাধিকবার স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশ তাকে হাতে নাতে আটক করেছে। সে নিজেকে কিডনি রোগী সাজিয়ে গত ৫ বছর ধরে ক্যাথেটার ঝুলিয়ে হাটা চলা করে আসছে। পাশাপাশি মাদক খুচরাভাবে প্রকাশ্যে বিক্রি করে। তাকে পুলিশ ধরলেই অজ্ঞান হওয়ার অভিনয় করে। ফলে পুলিশ তাকে ধরে কিন্তু ছেড়ে দেয়।

শুধু তাই নয়, তাকে দিয়ে মাদক কারবার পরিচালনা করে কিছু অসাধু লোকজন। যারা পর্দার আড়ালে থাকে। তারাই পুলিশকে বা প্রতিবাদকারীদের গোপনে ম্যানেজ করে। এভাবে রোগী সেজে মাদক কারবার করে আসছে সে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ইছাপুরা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রোমান মোল্লা বলেন, আলী হোসেন রোগী সেজে থাকায় কেউ জেনেও কিছু বলতে পারে না। এতে আমাদের বাজার ও এলাকার বদনাম হচ্ছে। আর যুবকরা মাদকে ঝুঁকে যাচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মির্জা শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বাড়িয়া ছনি এলাকার আলী হোসেন খুচরা মাদক বিক্রি করে আসছে তার নিজস্ব লোকদের কাছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িয়ে অভিযান চালনা করি। এ সময় আমি ছাড়াও অপর দুই সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) শহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম খানসহ সঙ্গীয় ফোর্স ইছাপুরা এলাকার আনোয়ারের ভাড়াটিয়া আলী হোসেনের বাড়ির ঘটনাস্থল থেকে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করি। কিন্তু মাদক কারবারি রোগী হওয়ায় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, তার হাতে ক্যাথেটার ঝুলানো রয়েছে দেখতে পাই। এমনকি সে হাসপাতালের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিল। কোনো ছাড়পত্র খোঁজ করে পাইনি। তারপরও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু রোগী তার আচরণে ভিন্নতা দেখালে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করি। পরে তাদের পরামর্শে ইয়াবা ও মোবাইল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, আটক করে ছেড়ে দেয়া হয়নি বরং রোগী থাকায় তাকে গ্রেফতারের পরিবেশ পায়নি পুলিশ। তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত আলী হোসেন বলেন, আমি চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে এমন কাজে মাঝে মাঝে যুক্ত হই। কিন্তু ব্যবসা করি না। দু এক পিস করে বিক্রি করে থাকি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড