• বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

টেকনাফ স্থলবন্দরে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসার সুযোগ চান প্রকৃত ব্যবসায়ীরা

  মিজানুর রহমান মিজান, টেকনাফ (কক্সবাজার)

০৮ মে ২০২৩, ১৪:৪৮
টেকনাফ স্থলবন্দরে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসার সুযোগ চান প্রকৃত ব্যবসায়ীরা
টেকনাফ স্থলবন্দর (ছবি : অধিকার)

কক্সবাজার টেকনাফ স্থলবন্দরে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তিতে রয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আর যারা কোনো দিন বন্দরে যায় না তারা প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংক থেকে চালান নিয়ে বন্দরের ব্যবসার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করছে।

তাদের এ সমস্যার কথা সরকারকে জানানো অপরিহার্য মনে করছেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থল বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুস শুক্কুর সিআইপি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন। গত মার্চ মাসের শুরুতে টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে সরকার কমপক্ষে প্রতিমাসে (১০০-১৫০) কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। মার্চ মাসের দিকে সকল ব্যবসায়ীদের ব্যবসা এবং ভোক্তাদের কাছে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক ছিল। যেমন প্রতি কেজি আদা ট্যাক্স ও সি.এন্ড.এফ খরচ ছিল ১৩ টাকা, যা বাজার মূল্য ছিল ভোক্তাদের হাতের নাগালে (৫৫-৬০) টাকা।

গত মার্চ মাসের পরে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি টেকনাফ স্থলবন্দরে পদার্পণ করেন, যারা অতীতে ব্যবসার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। তারা প্রভাব বিস্তার করে টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করে, অতঃপর সোনালী ব্যাংক ও এবি ব্যাংকে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স দেখিয়ে এফ ডি ডি করা শুরু করে। তাদের প্রভাবের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা এফ ডি ডি করার সিরিয়ালও পায়না।

বর্তমান সময়ে ড্রাফটের কোঠা প্রভাবশালীদের হাতে চলে যাওয়ায়, ব্যাংক ডলার সংকট দেখিয়ে এফ ডি ডি বন্ধ করে দেয়।প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোনো ধরনের ব্যবসায়ী নয়, তারা অযথা দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি সৃষ্টি করতেছে এবং টেকনাফ স্থলবন্দরের যে কোনো পণ্যে সি.এন্ড.এফ খরচ ১০ গুণ বৃদ্ধি করতেছে।

কিছুদিন পরপর এবি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে ড্রাফট ওপেন করে দেয়, কয়েকদিন পরপর আবার বন্ধ করে দেয়। ড্রাফট ওপেন হলে প্রভাবশালীরা এফ ডি ডি সিরিয়াল তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা ড্রাফট করতে না পারার জন্য ব্যবসাও করতে করতে পড়তেছে না।

টেকনাফ স্থলবন্দরে আদার ট্যাক্স ও সি.এন্ড.এফ খরচ ১২ টাকার পরিবর্তে ৫০-৬০ টাকা আদায় করার কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম ১০ গুণ বেড়ে গিয়ে (৫৫-৬০) টাকার আদা (১৮০-২০০) টাকা হয়ে গেছে। সরকারের রাজস্ব কিন্তু বৃদ্ধি করা হয়নি।

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে জনসাধারণ দ্রব্যমূল্যের ভোগান্তিতে পড়ে গেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বর্তমান অবস্থা চলমান থাকলে ভবিষ্যতে টেকনাফ স্থলবন্দরের প্রতিটি পণ্যের সি.এন্ড.এফ কাস্টিং ১৫ গুণ বৃদ্ধি করে দিবে।

সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি ব্যবসায়ীদের আকুল আবেদন প্রভাবশালী ব্যক্তি যারা ব্যবসায়ী না হয়ে ব্যবসার নামে টাকার নেশায় পড়ে গেছে তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া হউক।

সাধারণ ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের সুবিধার জন্য ব্যাংকে এফ ডি ডি উন্মুক্ত করে দিয়ে সবাইকে সিরিয়াল অনুযায়ী এফ ডি ডি করার সুযোগ দিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানান ব্যবসায়ীরা।

এভাবে চলতে থাকলে বন্দরের অবস্থা আরও খারাপ এর দিকে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী ও সচেতন সমাজ।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড