জে রাসেল, ফরিদপুর
জীবিকার তাগিদে রোদ-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন রাস্তায় বের হয় একজন রিক্সাচালক। কখনো সেটা বয়সেও বাধা পড়ে না। বৃদ্ধ বয়সেও অনেকে রিক্সা নিয়ে ছুটে চলেন। দিনভর হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম শেষে ফিরেন আপনজনদের কাছে।
কিন্তু রিক্সা নিয়ে বের হয়ে স্বজনদের কাছে ফেরা হয়নি পঞ্চাশ বছর বয়সী আনু মৃধার। মাত্র ৩০ টাকার ভাড়ায় গিয়ে জীবন দিতে হয়েছে তাকে। নিজ গ্রামের একটি কলাবাগানে পড়েছিলো তার নিথর দেহ। আনু মৃধা ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
এ ঘটনায় ২৯ এপ্রিম শনিবার দিবাগত রাতে একই এলাকা থেকে সোহাগ মৃধা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের রহস্য। এ ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা ঐ রিক্সাটি ক্রয় করেছিলেন।
শনিবার সকাল ১০টায় ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান।
গত ১৬ই এপ্রিল ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের জব্বারের কলাবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর লাশটি শনাক্ত করে নিহতের ছেলে পিয়াস মৃধা (২৫) ঐদিনই ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মলনে পুলিশ সুপার জানান, আনু মৃধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর মাত্র ১৭ হাজার টাকায় রিক্সাটি বিক্রি করে দেয় সোহাগ মৃধা। এরপরই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত একমাত্র সোহাগ মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেন, জেলা সদরের শিবরামপুর স্ট্যান্ড থেকে ঘাস আনার কথা বলে ৩০ টাকায় রিক্সা ভাড়া করে পূর্ব পরিচিত সোহাগ মৃধা। এরপর ঘাসের বস্তা আনার জন্য রাজ্জাকের কলাবাগানের পাশে রাস্তায় রিক্সাটি রাখা হয়। এক পর্যায়ে কৌশলে ঘাসের বস্তা মাথায় উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাগানের ভেতর রিক্সাচালক আনু মৃধাকে ডেকে নেওয়া হয়। এ সময় আনু মৃধার ঘাড়ে ঝুলানো গামছাটি পেছন থেকে গলায় পেচ দিয়ে জোড়ে টান দেয়। তখনই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তারপরে গামছাটি দুই দিকে ধরে জোড়ে টান দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে রিক্সা নিয়ে চলে যায় সোহাগ।
সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, কোতয়ালী থানার ওসি এম.এ জলিল সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড