• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় দিশেহারা পরিবার

  জে রাসেল, ফরিদপুর

২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:২৯
পর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় দিশেহারা পরিবার

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পুর্বকান্দি গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও নগদ টাকাসহ মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজন ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেনে। এ ঘটনায় মামুন সরদার বাদী হয়ে সদরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সদরপুর থানাধীন বাড়ের হাট বাজারে সার ও কীটনাশক ঔষুধ এবং ভুষি মালের ব্যবসা করিয়া আসিতেছে মামুন। বিবাদীদের সহিত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পূর্ব হইতে শত্রুতা চলিয়া আসিতেছে। সেই সূত্র ধরে গত ২৩/০৪/২০২৬ তারিখ সকাল আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটে উল্লেখিত বিবাদীরা রামদা, ছ্যানদা, চাপাতি, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুক্তভোগীর বসতবাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। এ সময় তিনি তার পিতা ফয়েজ আহম্মদ সরদার (৭০) ও ছোট ভাই এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী সুমন সরদার (২৬) ও মো. ফারুক সরদার (৫২), ভাতিজি নাজমা বেগম (৩২) পিতা. গোপাল সরদার বিবাদীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় বিবাদীদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিবাদী শওকত মাতুব্বরের হুকুমে ফজলু মোল্যার হাতে থাকা ছ্যনদা দিয়ে ভাতিজি নাজমা বেগমকে কোপ দেয়। এতে সে গুরুতর জখম হয়। এ সময় বিবাদী জিন্নাত মোল্যা নাজমা বেগমের গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।

ভুক্তভোগী বলেন, বিবাদী গিয়াস উদ্দিন মোল্যার হাতে থাকা রামদা দিয়া আমার ছোট ভাই সুমন সরদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে সেই কোপ তার ডান পাশের চোখের উপরে লাগিয়া কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। বিবাদী মো. শওকত মাতুব্বরের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার পিতা ফয়েজ আহম্মেদ সরদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া বারি মারলে উক্ত বারি সে বাম হাত দিয়া ঠেকাইলে তাহার হাতের কব্জির উপরে লাগিয়া হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জখম হয়। বিবাদী নজরুল মোল্যা ও আমার ভাতিজি নাজমা বেগমকে এলোপাতাড়িভাবে কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এ সময় তার পরিহিত কাপড়-চোপড় টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়।

এ সময় ১নং বিবাদী শওকত মাতুব্বর বিবাদী কুতুবদ্দিন মোল্যা বিবাদী আনন্দ মোল্যা বিবাদী লুৎফর মোল্যা আমাদের বসত ঘরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে শো-কেচের ড্রয়ারের মধ্যে থাকা জমি ক্রয় করার জন্য রাখা এক লাখ ৯০ হাজার টাকা লুট করে নেয় এবং যাওয়ার সময় বিবাদী আমিনুল মোল্যা সকল বিবাদীগন আমার ঘরে থাকা ড্রেসিং টেবিল ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করে আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।

তিনি বলেন, এ সময় আমাদের স্থানীয় কায়উম সরদার (৫০) রাকিবুল সরদার (২৫) ইনজেদ্দিন মোল্যাসহ (৬৫) আরও লোকজন আসলে বিবাদীরা আমাদেরকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সাক্ষীদের সহযোগিতায় চিকিৎসার জন্য মাইক্রোবাসযোগে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হইলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার ভাতিজি নাজমা বেগম, আমার পিতা ফয়েজ আহম্মেদ শেখ ও আমার ভাই সুমন সরদার এবং ৪নং সাক্ষী সোনা মিয়া শেখকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।

বর্তমানে বিবাদীরা এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমাকে অব্যাহতভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। বিবাদীদের হুমকির ভয়ে আমি স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছি না এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি।

এ বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন মোল্লার সাথে যোগাযোগের নানা চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত গোলদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানা, মারামারির একটি ঘটনা ঘটেছে। মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড