এস এম শাহেদ হোসাইন ছোটন, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রাম-৮ আসনে (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ) উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
নোমান আল মাহমুদ ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। তিনি মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৭ ভোট।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ১৯০টি ভোট কেন্দ্রে এক হাজার ৪১৪টি কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে এই ভোটগ্রহণ। ভোট শেষে বৃহস্পতিবার রাতে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশে জিমনেশিয়ামে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামে-৮ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন, নারী ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।
নির্বাচনের সর্বশেষ প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, ১১৯ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ পেয়েছেন ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৭ ভোট। একতারা প্রতীকের প্রার্থী মীর মোহাম্মদ রমজান আলী পেয়েছেন ৪৮০ ভোট, আম প্রতীকের প্রার্থী কামাল পাশা ৬৭৩ ভোট এবং চেয়ার প্রতীকে সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এক হাজার ৮৬০ ভোট।
মোমবাতি প্রতীকের এজেন্ট আবদুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, নৌকার সমর্থকরা আমাদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এছাড়া এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এভাবে চললে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার বোয়ালখালী উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী স.উ.ম আবদুস সামাদ বলেন, সকাল থেকে ভোটাররা কেন্দ্রে গেলেও বুথে অবাঞ্ছিত লোকের উপস্থিতির কারণে ভোট দিতে পারেননি। বোয়ালখালীর আমুচিয়া, পোপাদিয়া, পূর্ব খিতাপচরে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে মোমবাতি প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বোয়ালখালীর সারোয়াতলীতে তাজুল নামের এক ব্যক্তি মোমবাতিতে ভোট দেওয়ায় তাকে মারধরের চেষ্টা চালানো হয়েছে।
এ দিকে সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটারদের তেমন কোনো উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে নৌকা, মোমবাতি ও চেয়ার প্রতীকের অনুসারীদের উপস্থিতি চোখে পড়েছে।
পশ্চিম কধুরখীল পাঠানপাড়া সরকারি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টায় দেখা যায় তেমন কোনো ভোটার নেই। এ ছাড়া কেন্দ্রগুলোতে নৌকা, মোমবাতি, চেয়ার প্রতীকের এজেন্ট ছাড়া বাকি প্রার্থীদের এজেন্ট দেখা যায়নি।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা লিয়াকত আলী বলেন, উপনির্বাচন নিয়ে মানুষের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তারপরও ভোটার আসছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরে আসনশূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতে এলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে কমিশন।
এ আসনটি এর আগেও একবার শূন্য হয়েছে ২০১৯ সালে। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড