আব্দুর রউফ রুবেল, গাজীপুর
গাজীপুরের শ্রীপুরে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ আব্দুল হেকিম ফকিরকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও দুই ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বরমী ইউনিয়নের তাঁতীসূতা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আব্দুল হেকিম ফকির সোনাকর (তাঁতীসূতা) গ্রামের প্রয়াত ছুমেদ আলী ফকিরের ছেলে। সে বাসা এবং মসজিদে নামাজ পড়ে সময় পার করত।
নিহতের একমাত্র বোন সফুরা খাতুন জানান, তার ভাইয়ের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর শ্রীপুর পৌরসভার লোহাগাছ এলাকার শাহনাজ বেগমকে (৪০) বিয়ে করে। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে মাহবুব (২২) এবং মারুফ (১৯) রয়েছে। ছেলেরা উশৃঙ্খল জীবনযাপন করে এবং তার ভাইকে স্ত্রীর নামে দুই গণ্ডা জমি লিখে দেয়ার জন্য ছেলেদেরকে নিয়ে গত এক বছর যাবত প্রায়ই বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতো তার ভাবী।
এ নিয়ে আব্দুল হেকিম ফকির মানসিকভাবে টেনশনে থাকতো। ছেলেরা উশৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করায় লজ্জায় নামাজের সময় ছাড়া বাড়ি থেকে তেমন বের হতো না। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম পাশের বাড়ীর লোকদেরকে ডেকে তুলে বলেন তার স্বামী ঘরের দক্ষিণ পাশের জানালার গ্রিলে গলায় চাদর পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আছে। পরে তারা গিয়ে আব্দুল হেকিম ফকিরকে নামাজ পড়ার সময় মাথায় ব্যবহৃত রুমাল দিয়ে দুই পা বাঁধা এবং গায়ের চাদর গলায় পেঁচানো অবস্থায় খাটে বসা দেখতে পায়।
তিনি দাবি করেন, নিহতের স্ত্রী ও দুই ছেলে মিলে তার ভাইকে শ্বাসরোধে হত্যার পর খাটের উপর বসিয়ে পা বেঁধে এবং গলায় চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ওই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মো. নাসিম জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনে ওই বৃদ্ধের শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফাঁস নেয়ার দৃশ্য সন্দেহ হওয়ায় ময়না তদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন অহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড