মনিরুজ্জামান, নরসিংদী
নরসিংদীর মেঘনা নদীতে দিনেদুপুরে স্পিডবোট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলোকবালী ইউনিয়ন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইউসুফ আলী।
তিনি জানান, আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর ঘাট থেকে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার নবীনগরের সলিমগঞ্জ ও মুরাদনগরের সীমানায় মেঘনার চারটি শাখা নদীর সংযোগস্থলে পৌঁছলে, ১৪-১৫ জনের একটি ডাকাতদল স্পিডবোট নিয়ে হানা দেয়। তবে ডাকাতিকালে তাদের কারো মুখই বাধা ছিলনা বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা ট্রলারে থাকা ৫০-৬০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ট্রলারের যাত্রীদের অধিকাংশ আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের। তারা ঈদের কেনাকাটার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের সলিমগঞ্জ বাজারে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আলোকবালী ইউপি সদস্য ভুক্তভোগী হান্নান মেম্বার বলেন, আমরা জয়কালিপুর মোহনায় পৌঁছামাত্র একটি বড় স্পিডবোট আমাদের নৌকার কাছে এসে পৌঁছায় আমরা বুঝে উঠার আগেই ১৪-১৫ জন ডাকাত আমাদের নৌকায় উঠে পড়ে। এসময় তারা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে আমার মোবাইল এবং নগদ দশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
অপর ভুক্তভোগী বকশালীপুর গ্রামের বাবুল (৪০) বলেন, আমার কাছ থেকে নগদ ৫৬ হাজার টাকা এবং সৌদি দুই হাজার রিয়াল দিয়ে কেনা একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। মোবাইলটি দিতে দেরি করলে ডাকাত দলের সদস্যরা রাম দা দিয়ে আমাকে একটি কোপ দেয়।
মুরাদনগর গ্রামের ভুক্তভোগী শেফালি বেগম (৪৮) বলেন, আমার কানের দুল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ইদ উপলক্ষে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে যাচ্ছিলাম। ডাকাতদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনি। যার সঙ্গে যা ছিল সবই নিয়ে গেছে। ডাকাতি শেষে তারা চরমধূয়া এলাকার দিকে পালিয়ে যায়।
মুরাদনগর নগর গ্রামের জহিরুলের মেয়ের কাছ থেকে ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা।
ডাকাতির কবলে পড়া ট্রলারের মাঝি বকুল মিয়া (৫৩) বলেন, আমার ট্রলারে প্রায় ৫০-৬০ জন যাত্রী ছিল। ডাকাত দল নদীতে যাত্রীদের আটকে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনার পর সলিমগঞ্জ বাজারে না গিয়ে ট্রলার চালিয়ে আমরা গ্রামে ফিরে আসি।
আলোকবালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইউসুফ আলী বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যে এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, সে এলাকাটি আমাদের জোনের আওতাভুক্ত নয়। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার আওতাভুক্ত।
নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল মিয়া বলেন, ঘটনাস্থল আমাদের জোনের ভেতরে নয়। এটি নরসিংদীর রায়পুরা থানার অধীনে। তারপরও খোঁজ খবরে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড