কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সহকারী তহশিলদার আব্দুল মকিতের বিরুদ্ধে সেবা-প্রার্থীদের হয়রানি, অবৈধ সুবিধা আদায় ও সরকারি স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজ না করার বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ সুবিধা নিয়ে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন না হওয়া সত্ত্বেও কয়েকজনকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন।
এসব বিষয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা প্রশাসনকে জানালে সরেজমিনে তদন্ত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উক্ত আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে একজন মহিলার ঘর বরাদ্দ বাতিল করে তাকে ঘরটি খালি করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপরোক্ত বিষয়ে উক্ত সহকারী তহশিলদার আব্দুল মকিতকে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করেছেন।
ভুক্তভোগী ও সেবা প্রার্থীদের বরাতে জানা গেছে, আব্দুল মকিত গত কয়েক মাস আগে দেবহাটা সদর তহশিল অফিসে সহ তহশিলদার হিসেবে যোগদান করেন। ইউনিয়ন তহশিলদার অরুণ কুমার অসুস্থ থাকার কারণে উক্ত আব্দুল মকিত সরকারি দাপ্তরিক কাজ করে থাকেন। কিন্তু যোগদান পরবর্তী তিনি কোনো সেবা প্রার্থীদের সাথে ভাল ব্যবহার করেন না।
সরকারি খাজনা পরিশোধ বা নামজারিসহ বিভিন্ন কাজে সাধারণ মানুষ গেলে অহেতুক তাদেরকে দিনের পর দিন সময় ক্ষেপণের সাথে সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এমন অভিযোগ করেছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। গত সপ্তাহে তিনি কোন খাজনা গ্রহণ করেননি। মানুষ খাজনা দিতে গেলে তাদেরকে বলেছেন তিনি ইউএনও স্যার কাজ দিয়েছেন সেই জরুরি কাজে ব্যস্ত। এখন কোনো খাজনা নিতে পারবেন না।
যদিও বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানিয়েছেন, সরকারি কাজ দেয়া হয়েছে তাই বলেতো দাপ্তরিক দৈনন্দিন কাজ বন্ধ থাকবে না। সরকারি জরুরি কাজের সাথে অবশ্যই দৈনন্দিন কাজ করতে হবে। এছাড়া উক্ত সহ তহশিলদার আব্দুল মকিত গত কয়েক মাস আগে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ভারতে সরকারি প্রশিক্ষণে গেলে আব্দুল মকিত ফাকা মাঠে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমি-জায়গা আছে এমন মানুষদেরকে ঘরে উঠিয়ে দেন। যেটা সরকারি নীতিমালার বিপরীত। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে এসে এসব বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে দেবহাটা এসি ল্যান্ডকে সরেজমিনে তদন্তে পাঠান।
তিনি আরও বলেন, এসি ল্যান্ড তদন্ত করে সখিপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে এমন অভিযোগের সত্যতা পান। যার কারণে সেখান থেকে একজন মহিলাকে উক্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বাতিল করেন। এ সকল বিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিস দেবহাটা থেকে ৩১.৪৪.৮৭০০.৪৩.০০৩.০১৬.২০২১-২০০ নং স্মারকে উক্ত সহ তহশিলদার আব্দুল মকিতকে শোকজ নোটিশ প্রেরণ করেন।
তার দাবি, বর্তমানে সেবা প্রার্থীদের দাবি বর্তমান সরকার যেখানে সকল সেক্টরের পাশাপাশি ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন সহজীকরন এবং সেবা প্রার্থীদের সেবা প্রদান সহজ করছেন সেখানে একজন সহকারী তহশিলদারের দ্বারা এ ধরনের হয়রানি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ খুবই খারাপ। সাধারণ মানুষ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড