সুমন খান (লালমনিরহাট)
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় স্বামীর উপস্থিতিতে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূ বর্তমানে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় তার স্বামীকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে তাকে স্বামীর সহযোগিতায় ধর্ষণ করা হয় এমনটি জানান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ ও তার পরিবারের লোকজন।
জানা গেছে, ওই উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ বুধবার রাতে স্বামীর সাথে পাশে ৮নং ওয়ার্ডে বাবার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। কিন্তু বাবার বাড়ি নিয়ে না গিয়ে তাকে অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে যায় তার স্বামী।
ওই গৃহবধূর দাবি, প্রথমে তার স্বামী তার সাথে দৈহিক মেলামেশা করেন। এরপর গভীর রাতে জামাল নামে এক ব্যক্তি তার স্বামীর উপস্থিতিতে তাকে ধর্ষণ
করেন। সকালে তাকে একটি অটোযোগে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মূলত বাবার বাড়ি থেকেই তার ভাই প্রথমে তাকে হাতীবান্ধা হাসপাতালে পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ দিকে গৃহবধূর বড় ভাইয়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বোনের কাছে যেটুকু শুনেছি তা বলার ভাষা নেই। বাবার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় তারা দুজনেই। কিন্তু সেটা না করে সে অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রথমে তার স্বামী নিজেই আমার বোনের সাথে সহবাস করে। এরপর একে একে ৪/৫ জন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তাকে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এখন আমার বোন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেছেন, আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি ওই গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এটি আমার ইউনিয়নে একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। ধর্ষণকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
হাতীবান্ধা থানা অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলেন, নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামীকে প্রথমে স্থানীয়রা আটক করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসার পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। ওই গৃহবধূ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে এটি ধর্ষণ না গণধর্ষণ তা স্পষ্ট বোঝা যাবে এবং সেই অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড