এস এম মনির উদ্দিন, টঙ্গী (গাজীপুর)
গাজীপুরের শিল্পনগরী টঙ্গীতে রোগীকে কেবিনে রাখাকে কেন্দ্র করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তারিক হাসানকে গালিগালাজ ও হুমকি দিলেন আউটসোসিং কর্মচারী তৌহিদুল ইসলাম হৃদয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে হাসপাতালের ডা. তারিক হাসান বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরিসহ স্থানীয় এমপি ও তত্ত্বাবধায়কের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় আবু সাইদ নামে একজন অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসে কেবিনে ভর্তি দিতে বলেন আউটসোর্সিং কর্মচারী তৌহিদুল ইসলাম হৃদয়। এ সময় ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তারিক হাসান রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সরকারি বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রোগীকে কেবিনে ভর্তি হতে বলেন।
এ নিয়ে হৃদয়ের সাথে ডা. তারিক হাসানের কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে হৃদয় ডা. তারিক হাসানকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তাকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন এবং রোগীর কক্ষ থেকে তাকে বের হয়ে যেতে বলেন।
আরও জানা যায়, ইতিপূর্বেও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে অশালীন আচরণ করাসহ বহু অভিযোগ রয়েছে হৃদয়ের বিরুদ্ধে। পরে চিকিৎসকরা একত্রিত হয়ে কর্মবিরতি পালনের জন্য তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে যান এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হৃদয়কে হাসপাতাল হতে প্রত্যাহারের জন্য ৫৬ জন চিকিৎসকরা সম্মতি স্বাক্ষরযুক্ত অভিযোগ পত্র তত্ত্বাবধায়কের কাছে জমা দেন।
তত্ত্বাবধায়ক সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে চিকিৎসকদের বুঝিয়ে কর্মবিরতি পালন থেকে বিরত রাখেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে আউটসোসিং কর্মচারী তৌহিদুল ইসলাম হৃদয় বলেন, আমি রোগী নিয়ে গেলে ডা. আমাকে কেবিনের ফি জমা দিতে বলেন। টাকা না থাকায় আমি বলেছি পরে দেব। কিন্তু ডা. তারিক তা না মানায় ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তারিক হাসান বলেন, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। সেই সাথে সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার আশায় ডাক্তারের সম্মতি স্বাক্ষরযুক্ত অভিযোগ পত্র হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও স্থানীয় এমপির নিকট দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, চিকিৎসকরা আমার কাছে এসেছিল। আমি সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে তারা তাদের কর্মসূচি পরিবর্তন করে কাজে যোগ দেয়। বিষয়টি স্থানীয় এমপি ও অত্র হাসপাতালের সভাপতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে।
সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে জানতে চাইলে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড