মিজানুর রহমান মিজান, টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন বৈদ্যঘোনা গভীর পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত তিনজনকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১৫
আটক অপহরণকারীরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের মাঠ পাড়া এলাকার নজির আহমদের ছেলে নবী হোসেন (২৭) ও জাহিদ হোসেন প্র. কাবিলা।
গতকাল সোমবার (২৭ মার্চ) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-১৫ গণমাধ্যমে জানায়, র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পে জনৈক ঠাণ্ডা মিয়া (৬৫) অভিযোগ দায়ের করেন যে, গত ২৫ মার্চ অনুমানিক ৪টায় তার ছেলে ভিকটিম আমান উল্লাহ (১৯) ও তার ছেলের বন্ধু সিরাজুল মোবিনসহ (১৮) বসতবাড়ি থেকে ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে বের হলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ উলুবুনিয়া রাস্তার মাথায় পৌঁছালে কতিপয় ব্যক্তি তাদের নিকট হতে সিএনজি মেরামতে জন্য একটি গ্যারেজের সন্ধান চায়।
পরবর্তীকালে ভিকটিমদ্বয় সরল বিশ্বাসে পার্শ্ববর্তী একটি গ্যারেজের সন্ধান দেখানোর উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কতিপয় অপহরণকারী বর্ণিত ভিকটিমদ্বয়কে জোরপূর্বকভাবে অপহরণ করে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়।
অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীদের একটি আবদ্ধ ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে তালা বন্ধি করে রাখে এবং ১নং ভিকটিমের নম্বর হতে তার পরিবারের নিকট ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিসহ বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।
গত ২৬ মার্চ অনুমানিক ৪টায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন আল জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদরাসার সামনে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারীর চক্রের মূলহোতা নবী হোসেন (২৭) ও জাহিদ হোসেন প্র. কাবিলাকে (২২) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদ্বয় অপহরণের কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই তারিখ সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন বৈদ্যঘোনা (নতুন পল্লান পাড়া) গভীর পাহাড়ি এলাকা হতে আমান উল্লাহ (১৯), সিরাজুল মোবিনকে (১৮)' উদ্ধার করা হয়।
উক্ত অভিযান চলাকালীন সময়ে গত ২৫ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টায় উখিয়া থানাধীন কুতুপালং এলাকা হতে অপহৃত হওয়া অপর একজন ভিকটিম আবু তাহেরকে (২৭) উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও অপহরণকারীদের দখল হতে দুটি রাম দা, ২৫ ফুট শিকল, ৮টি তালা, ২টি চাবির ছড়াসহ ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ১নং ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ৬৩, তাং- ২৬/০৩/২০২৩ খ্রিঃ ১৮৬০ সালের পেনাল কোড ৩৬৫/৩৮৫ ধারা।
উদ্ধারকৃত ভিকটিমদেরকে স্ব স্ব পরিবারের নিকট হস্তান্তর পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড