• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রাঙামাটিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৪৩৯ ঘর হস্তান্তর

  এম. কামাল উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার (রাঙামাটি)

২২ মার্চ ২০২৩, ১৭:০৬
রাঙামাটিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৪৩৯ ঘর হস্তান্তর
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর (ছবি : অধিকার)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের আওতায় রাঙামাটি জেলায় ৪৩৯ উপকারভোগী পরিবারের মাঝে নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন ঘর হস্তান্তর উদ্বোধনের পর সকাল সাড়ে ১১টায় রাঙামাটি জেলার জিমনেশিয়াম হলে রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নের ৮৩টি এবং জেলার অন্যান্য উপজেলায় সর্বমোট-৪৩৯ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়।

রাঙামাটি জিমনেশিয়াম হলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের নতুন ঘর হস্তান্তর প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিনসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

দুর্গমতা ও ভৌগোলিকগত প্রতিকূলতার মাঝেও পাহাড়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয় প্রকল্পের ঘর উঁচু নিচু ছোট বড় অসংখ্য পাহাড়ের সমাবেশে ভরপুর পাহাড়ি জনপদ। এই পাহাড়ের নানা দুর্গমতা আর ভৌগোলিকগত প্রতিকূলতার মাঝেও পাহাড়ের বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয় প্রকল্পের ঘরগুলো। ইতিমধ্যে অনেক ঘর ও ভূমিহীন পরিবার বুঝে পেয়েছেন।

কাউখালি উপজেলার শামুকছড়ি ইউনিয়নের অন্ধ রেমা মারমা বলেন, আগে আমাদের ঘর ভাঙা ছিল বৃষ্টি হলে পরতো আমাদের খুব হতো। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়ে আমাদের খুব উপকার হয়েছে। আমরা খুব খুশি হয়েছি, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসির মঙ্গল কামনা করি। প্রসঙ্গত-রাঙামাটিতে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়ে সর্বমোট ১হাজার ৯১৬টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয় প্রকল্পের মধ্যে থেকে ১ম ২য় ৩য় পর্যায়ের অংশ থেকে ঘর বুঝে পেয়েছেন ১৪৭৭টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। এ ঘরগুলো নির্মাণে বড় প্রতিকূলতা ছিল পাহাড়ের ভৌগলিকগত দুর্গমতার কারণে। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে যোগাযোগ অসুবিধা জন্য পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হলেও ইতি মধ্যে শেষ হয়েছে ৪র্থ ধাপে ঘর নির্মাণ কাজ।

কাউখালি উপজেলার শামুকছড়ি ইউনিয়নের অন্ধ রেমা মারমা বলেন, আগে আমাদের ঘর ভাঙা ছিল বৃষ্টি হলে পরতো আমাদের খুব হতো। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়ে আমাদের খুব উপকার হয়েছে। আমরা খুব খুশি হয়েছি, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসির মঙ্গল কামনা করি।

একই উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের অং সিং মারমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার পরিবারকে ঘর করে দিয়েছে এতে আমরা খুব খুশি হয়েছি। শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ। নতুন পাকা ঘর পেয়ে আমরা এখন অনেক সুখে আছি।

জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি দশ উপজেলায় ১ম থেকে ৪র্থ পর্যায়ে ১ হাজার ৯১৬ টি ঘর তৈরি করা হয়েছে। এতে ব্যয় করা হয়েছে চল্লিশ কোটি সাতান্ন লক্ষ বিরাশি হাজার পাঁচশত টাকা। ইতিমধ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেয়েছে ১ হাজার ৪৭৭ পরিবার। এবারে ৪র্থ পর্যায়ে রাঙামাটি সদর উপজেলায় ৮৪টি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৮০টি, লংগদু উপজেলায় (৩য় পর্যায়ের ৪০টি সহ) ৮৩টি, নানিয়াচর উপজেলায় ২৭টি, বরকল উপজেলায় ৪০টি, রাজস্থলী উপজেলায় ১৪টি, জুরাছড়ি উপজেলায় ৭০টি এবং কাউখালী উপজেলায় ৪১টি সহ সর্বোমোট ৪৩৯ টি গৃহের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ভৌগোলিকভাবে দুর্গম হওয়ায় এখানে সমতলের মত সব গুলো ঘর এক সাথে করার সুযোগ নেই। যার কারণে আমাদের এখানে জায়গার সংখ্যাও বেশি হওয়ায় কাজ করাটাও অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আমরা প্রায় কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড