শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চুনতি অভয়ারণ্যে মায়া হরিণ শিকার (জবাই) ও পরিবহনের সময় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাঁশখালী উপজেলার নাপোড়া চুনতি অভয়ারণ্যে চোরা-শিকারিদের ধরতে বন-বিভাগের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ সহ উপজেলা বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় চুনতি অভয়ারণ্যে মায়া হরিণ শিকার ও পরিবহনের অপরাধে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার পুঁইছড়ি ইউসমনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আলীর ছেলে মো. জসিম (২১), আলী হোসেনের ছেলে মো. নেজাম (২০), নেয়ামত আলীর ছেলে মনজুর (৩০), আব্দুল হকের ছেলে মো. হোসেন (৪০), মকসুদের আলীর ছেলে কালু (১৮)।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলা বন-বিভাগের সহযোগিতায় গ্রেফতারকৃত প্রত্যেককে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ এর ২৩(২) ধারার অপরাধে ২৬(১ক) ধারায় ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই সময় জবাইকৃত মায়া হরিণ টি মাটি চাপা দেওয়া হয়। হরিণ ধরতে ব্যবহৃত জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ রক্ষার্থে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের কয়েকজন জানিয়েছেন, পুঁইছড়ি এলাকায় কয়েকটা বনদস্যু সিন্ডিকেট রয়েছে। যাদের কাজ বনের গাছ কাটা, লোক চক্ষুর আড়ালে হরিণ শিকার (জবাই) করে খাওয়া। এর আগেও বহু হরিণকে হত্যা করছে সিন্ডিকেট সদস্যরা। এদের অনেকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড