• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নির্মাণ কাজে ধীরগতি

শীলকুপ টাইম বাজার-গন্ডামারা সড়কে চরম জনদুর্ভোগ 

কাজ শেষের সময়সীমা জানে না কেউ

  শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

২১ মার্চ ২০২৩, ১৫:৩৯
শীলকুপ টাইম বাজার-গন্ডামারা সড়কে চরম জনদুর্ভোগ 
সড়কের বেহাল দশা (ছবি : অধিকার)

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রধান সড়কের সাথে সংযুক্ত শীলকুপ টাইম বাজার থেকে পশ্চিমে গন্ডামারা বাজার ব্রিজ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। ফলে জনসাধারণ সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সামান্য বৃষ্টিতে জলে-কাদায় বেহাল অবস্থা এ সড়কের। রৌদ্রে ধুলাবালির নরক রাজ্য।স্বাভাবিকভাবে হাঁটা-চলাফেরা করতে পারছেনা পথচারী। এহেন অবস্থায় বিকল হচ্ছে সড়কে চলমান যানবাহনগুলো।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর এলজিইডি চট্টগ্রামের আওতায় মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন নামে একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে। সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে পৌনে ৪ কোটি টাকা। কবে নাগাদ সড়কটির কাজ শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করে সংশ্লিষ্টরা কেউ বলতে পারছেন না।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শীলকুপ টাইম বাজার ও পশ্চিমে গন্ডামারা ইউনিয়নের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধান সড়কের সাথে জনগণের সহজে যাতায়াতের সুবিধার্থে টাইম বাজার থেকে গন্ডামারা ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক বর্ধিতকরণসহ পানি নিষ্কাশন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

সে অনুযায়ী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দুইপাশ বর্ধিতকরণে সড়কটির পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর এর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় পৌনে ৪ কোটি টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারিতে সড়কের কাজ শুরু করেন। দু’পাশে বর্ধিত অংশের মাটি কেটে স্যান্ড ফিলিং করেন। মাঝপথে কাজ বন্ধ করে চলে যান। আবার আসেন। দীর্ঘ আড়াই মাস অতিক্রম হলেও কাজের গতি নেই। সড়কের কোন কোন অংশে কার্পেটিং তুলে ফেললেও ঠিকমতো বালু ও পাথরের মিশ্রণ ঢেলে রোলিং না করায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে।

সম্প্রতি বৃষ্টিপাত হলে প্রধান সড়ক সংলগ্ন টাইম বাজার থেকে প্রায় দেড়শ গজের মতো দূরত্বে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় জলে-কাদায় জলখেলিতে রূপ নেয় সড়কটি। এতে চরম দুর্ভোগ পড়ে জনগণ।

বর্তমানে সড়কটির নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলায় শীলকুপ-গন্ডামারা দুই ইউনিয়নের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম, মো. ইদ্রিস, রিদুয়ান, মিজানুর রহমানসহ অনেকে বলেন- এভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নির্মাণ কাজ চলতে থাকলে আগামী এক বছরেও এ সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ পথচারীরা জানান, সড়কটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগের মাধ্যম। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শীলকুপ, গন্ডামারা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। মূলত সড়কটি টাইম বাজার হয়ে গন্ডামারা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার দূরত্বের সাথে বিশাল জনগোষ্ঠীর যোগাযোগের মাধ্যম।

এ সড়ক দিয়ে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, মনকিচর বড় মাদরাসাসহ বেশ কয়েটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ যাতায়াত করে। বর্ষায় হাঁটু পরিমাণ পানি দিয়ে হাঁটতে গিয়ে নানা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। সম্প্রতি সড়কের কার্পেট খুলে ফেলায় নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে চরম দুর্ভোগ পড়তে হচ্ছে জনগণকে।

ঠিকাদার কামাল হোসেনের মেসার্স রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মো. মাসুম বলেন, প্রধান সড়কের টাইম বাজার থেকে প্রায় দেড়শ গজের দূরত্বে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায়। এ জন্যে দুর্ভোগ লাঘবে প্রথমে ওই কাজটা করতে চেয়েছিলাম।

কিন্তু থানা ইঞ্জিনিয়ার পুরো সড়কের কার্পেটিং কাজ শেষ না করে ওই কাজটি করতে দেয়নি। কবে নাগাদ সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে এমন প্রশ্নের জবাবে নির্দিষ্ট কোন উত্তর দিতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদকে ফোন দিলে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড