কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ
বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি সেচের পানি বিতরণে অনিয়ম, হয়রানি ও দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি নওগাঁ জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসক ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি সেচের পানি বিতরণে অনিয়ম-হয়রানি-দুর্নীতি বন্ধ করা, বরেন্দ্র অঞ্চলের নদীসহ সারাদেশের নদী খাল জলাশয় অবৈধ দখলমুক্ত করা, পরিকল্পিতভাবে নদী খনন করে সেচ ব্যবস্থা চালু করা, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা, বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষি কৃষকসহ সাধারণ জনগণের জীবন জীবিকা নিশ্চিত করা এবং চাহিদা মতো নির্ধারিত দামে পর্যাপ্ত সার ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ প্রদানের দাবিতে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষক সমিতি নওগাঁ জেলা কমিটির সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান, মহসিন রেজা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম, আলাউদ্দিন মণ্ডল ও জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
জানা যায়, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা সেচের জন্য গভীর নলকূপ বসিয়ে দেয়। গভীর নলকূপ চালানোর জন্য অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। শুরুর দিকে অপারেটররা কৃষকের কাছ থেকে সেচ চার্জ আদায়ের জন্য কুপন প্রথা চালু করেন। ২০০৫ সাল থেকে কৃষকদের ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ খরচ বাবদ কৃষকের কার্ড থেকে প্রতি ঘণ্টা পানির জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে নেওয়া হয় তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।
এক বিঘা জমিতে সেচের জন্য কৃষকের কাছ থেকে এক মৌসুমে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করার অভিযোগ আছে। পাশাপাশি অপারেটরের কার্ড থেকে পানি নিতে বাধ্য করা হয়।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলায় বিএমডিএর ১৫ হাজার ৭৯৬টি গভীর নলকূপ রয়েছে। সেচের আওতায় জমি রয়েছে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর। কৃষকের সুবিধার জন্য সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দেয়। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়ে চার টাকা ১৬ পয়সা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড