চাচা কুনজর থেকে রেহাই পেল না সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক প্রতিবেশী চাচা কর্তৃক সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি গত ১৩ মার্চ উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের রোশন শিমুলবাড়ী গ্রামে ঘটেছে।

আজ সোমবার পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত চাচা পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দিনমজুরী কাজ করায় ওই ছাত্রীর বাবা-মা প্রায়ই বাড়ির বাহিরে থাকতেন। মেয়েটি বাড়িতে একাকী থাকার সুযোগে ওই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে প্রতিবেশী চাচা শফিকুল ইসলাম (২৯) প্রায়ই তাকে কু-প্রস্তাব দিতেন। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শফিকুল মেয়েটিকে নানা রকম প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখাতেন। প্রায় দেড় মাস আগে কিশোরীর মা মেয়েটির নানার বাড়িতে গেলে এবং তার বাবা কাজের জন্য বাইরে যান। এই সুযোগে অভিযুক্ত শফিকুল দিনের বেলায় বাড়িতে ঢুকে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।

মেয়েটি ভয়ে কাউকে কিছু না বলায় শফিকুল আবারও তাকে ধর্ষণের সুযোগ খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত ১৩ই মার্চ মেয়েটির বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে কৌশলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত ধর্ষক শফিকুল। কিন্তু ঘটনা ধামাচাপার দেয়ার জন্য মেয়েটির পরিবারকে ভয় ভীতি ও টাকার লোভ দেখান।

এ দিকে প্রায় ছয়দিন ধরে বিচারের জন্য গ্রামের মাতব্বরদের পিছনে ঘুরে বিচার না পেয়ে অবশেষে গতকাল রবিবার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান থানায় মামলা রুজু হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।