• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘কিছু ঘটানোর জন্য হত্যা মামলার আসামিকে ঢাকায় আনা হয়েছিল’

  মো. আকাশ, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

১৮ মার্চ ২০২৩, ১৩:০৬
‘কিছু ঘটানোর জন্য হত্যা মামলার আসামিকে ঢাকায় আনা হয়েছিল’
বক্তব্য রাখছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান (ছবি : অধিকার)

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধপল্লী ছিল। সেটা উঠিয়ে দিয়েছিলাম। কেউ একজন ওই নিষিদ্ধ পল্লীর নিষিদ্ধ সন্তান। বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাইকে যে হত্যা করেছিল এই গিয়াস উদ্দিনের নির্দেশে। সেই গিয়াস উদ্দিন এখন বড় বড় কথা বলে। সেই হত্যা মামলার আসামি তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল ঢাকায়। কিছু একটা ঘটানোর জন্য। হয়তো টার্গেট শামীম ওসমান থাকতে পারে তাদের।

গতকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জে লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী, নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- জেলা মহিলা সংস্থার সভাপতি সালমা ওসমান লিপি।

তিনি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে তারা পুলিশকে আক্রমণ করল। বিএনপির সমাবেশে তারা পুলিশকে আক্রমণ করে। পুলিশ নিজেদের আত্মরক্ষায় প্রতিরোধ করেছিল। সেসময় একটা ছেলে মারা যায় তাদের জন্যে। আরেকটা গ্রুপ আছে বিএনপির অনেক মহিলা কাউন্সিলর আছে। বাবুরাইলে বাড়ি। ড্রাগসের ব্যবসা করে তারা। মাদক ব্যবসার জন্য দুই জনকে হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপির সেক্রেটারি মামুন মাহমুদের ওপর চাকু দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। সে যদি মারা যেত?। তাকে আশেপাশের মানুষ রক্ষা করে। তারা হয়ত আমাদের ওপর দোষ চাপাতো যেভাবে ত্বকী হত্যার পর এখন আমাদের ওপর দোষ চাপিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেকে অনেক কথা বলে। গালাগাল করে। আমি শুনি না। আল্লাহকে চেনার চেষ্টা করছি। গীবত করা যে কত খারাপ তা কোরআনে বলা আছে। নারায়ণগঞ্জে যারা গীবত গান তাদের বলতে চাই, এগুলো করে লাভ হবে না। আমার স্বপ্ন আমি নারায়ণগঞ্জকে নতুন বৌয়ের মতো সাজাতে চাই।

শামীম ওসমান বলেছেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন আমরা ডিএনডি প্রজেক্ট করেছি। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড দেশের সবচেয়ে সুন্দর রোড হয়েছে। আমি চাইনি কিন্তু এটার নাম আমার মায়ের নামে দেয়া হয়েছে। আমার বড় ভাইয়ের নামে সেতু দিয়েছেন। আমরা দিতে বলিনি, আমাদের বলতে হয় না। আমরা মানুষের ভালবাসা চাই। বঙ্গবন্ধু কন্যার সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই।

নারায়ণগঞ্জে পাঁচশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে। বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হবে। শেখ কামাল আইটি ইনিস্টিউটের কাজ শুরু হবে। এগুলো সব আমরা করেছি। কিন্তু এখানে বসবাস করবে কারা। আজ অনেকে অনেক কথা বলছে।

তিনি বলেছেন, আমি ক্ষমা চাচ্ছি জাতির পিতার কাছে। আপনি আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন আর আমরা আপনাকে সপরিবারে হত্যা করেছি। পাকিস্তান সাহস পায়নি, ব্রিটিশরা সাহস পায়নি। মোস্তাকরা সাহস করতে পেরেছিল। বাইরে থেকে সমর্থন দেয়া হয়েছে এবং ভেতর থেকে দরজা খুলে দেয়া হয়েছে।

শামীম ওসমান ভাষায়, আমার রাজনীতি করার কথা। উন্নত বাংলাদেশে থাকার কথা। হত্যা করা হয়েছিল আমাদের শৈশবকে যৌবনকে। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় আমি তোমাদের চেয়েও ছোট ছিলাম। আমার বাবা সামান্য কিছু অস্ত্র হাতে নিয়ে প্রতিবাদ গড়ার জন্য চেষ্টা করছিল। আমার বড় ভাই অস্ত্র হাতে বেরিয়ে পড়েছিল। খন্দকার মোশতাক আমার বাসায় ফোন করেছিল। আমি ফোন ধরি, বলেছিলাম আব্বা বাসায় নেই। আমার মা ফোন নিয়েছিলেন। মোশতাকের প্রস্তাবে মা বললেন আমার স্বামী যদি আপনার মন্ত্রী সভায় যোগ দেয় প্রথমে চেষ্টা করবো তাকে হত্যা করতে। তা না পারলে নিজে আত্মহত্যা করবো।

তিনি বলেছেন, ভাত খেতে ভাত পাইনি। বড় ভাই সেলিম ওসমান ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র। তাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছিল। আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি মানুষের সমস্যা দেখলে ওরা পাগল হয়ে যায়। করোনার সময় আমরা পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। কিছু করতে পারছিলাম না। শুধু নামাজ পড়ে আল্লাহকে খুশি করতে চেয়েছি। বড় বোনের বিয়ে দিয়েছিলাম মসজিদে জিলাপি দিয়ে। অনেকে সেসময় কামিয়েছিলেন। মানুষের সম্পত্তি দখল করেছিলেন। চোরের মার বড় গলা লোকে বলে।

১৯৭৪ সালে বড় ভাইয়ের বিয়ের জন্য আমার বাবা হীরা মহল বন্ধক রেখেছিল। চৌচল্লিশ হাজার টাকার জন্য আমাদের বাড়ি নিলাম হয়ে গিয়েছিল। আজ যারা কথায় কথায় রূপ বদলায়। কখনো কাক কখনো কোকিল। তারা কেউ এগিয়ে আসেনি। অন্য দলের লোকেরাও আমার বাসায় এসেছিলেন। কেউ নাস্তা নিয়ে, আবার কেউ চালের বস্তা পাঠাতেন।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড