সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নে সরকারি নিবন্ধিত নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) লাইসেন্স ছাড়াই কাজী সেজে বাল্যবিবাহ দেওয়াসহ অবৈধ কার্যক্রম চালাচ্ছে কথিত জামাত নেতা আব্দুল ওহাব। তার খপ্পরে পরে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে নব দম্পতি ও তাদের পরিবার।
বর্তমানে উপজেলায় সরকারি নিবন্ধিত চারজন নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) রয়েছে তারা অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো ছেলে-মেয়ের বিয়ে না পড়ানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসছে এই সকল কথিত কাজীরা। প্রশাসনের তেমন নজরদারি না থাকায় এমন সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে কথিত কাজীরা বলে মনে করেছেন সাধারণ মানুষ।
এছাড়াও নিবন্ধিত প্রতিটি কাজীকে নিজ নিজ ইউনিয়নের মধ্যে বিয়ে পড়ানোর জন্য বলা হলেও কথিত কাজী আব্দুল ওহাব অবৈধভাবে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিয়ে পড়ান। গত শুক্রবার (৩ মার্চ) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুরিয়া গ্রামের রাশিদুল ইসলামের মেয়ে মিম খাতুনকে (১৩) বাল্য বিবাহ পড়ানোর অভিযোগ উঠে কথিত কাজী আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে। এই বিষয়টি সামনে আসতেই তার অবৈধ কার্যক্রম প্রকাশ্যে আসে।
বিষয়টি নিয়ে আব্দুল ওহাবের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার কোন নিজস্ব লাইসেন্স নাই। যদিও সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের মো. হাকিম কাজীর সাথে বিয়ে পড়াই মাঝে মধ্যে তার বই দিয়ে নিজেদের আত্মীয় স্বজনের বিয়ে পড়িয়ে থাকি। এছাড়াও তিনি আরও বলেন আইন ধরলে অনেক না ধরলে কিছুই না।
নলকা ইউনিয়নের মো. হাকিম কাজীর বলেছেন, তাকে আমি চিনি সে বিয়ে পড়ায় তবে তাকে আমার বই দেই না; সে ভদ্রঘাট ইউনিয়নের আক্তার উজ্জামান কাজীর কাগজ দিয়ে কাজ করে। আক্তার উজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার ইউনিয়নে আমি কাজ করি আমি তাকে কেন আমার বই দিয়ে কাজ করাব। আমার ইউনিয়নে আমার কাজগুলো অবৈধভাবে অন্য জনের বই দিয়ে সে নাবালক দের বিয়ে পড়ায়।
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমা খাতুন জানান, এটা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। বিয়ের রেজিস্ট্রি যদি মুল বইয়ে না ওঠে তাহলে তার দ্বারা মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড