• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাঙালি শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে পিসিসিপি

  এম. কামাল উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার (রাঙামাটি)

০৬ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩৯
বাঙালি শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে পিসিসিপি

পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষাবৃত্তি, কোটা ও চাকরি ক্ষেত্রে বাঙালি শিক্ষার্থীদের সাথে সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালি ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।

সোমবার (৬ মার্চ) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তিন ঘণ্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মো. হাবীব আজম এত সভাপতিত্ব করেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান মজিব। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিবও বাঘাইছড়ি পৌরসভার (সাবেক) মেয়র মো. আলমগীর কবির, সহ-সভাপতি কাজী মো. জালোয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বক্কর মোল্লা, ব্যবসায়ী নেতা মো. কামাল উদ্দিন, পিসিসিপি রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলামও সদস্য সচিব রাজু আহম্মেদসহ আরও অনেকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মজিবর রহমান মুজিব বলেন, পার্বত্য অঞ্চলকে অনগ্রসর অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি, উচ্চশিক্ষা বৃত্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোটা, ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা রকম কোটা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে সরকার। তবে একই এলাকায় বসবাস করে বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো থেকেও পিছিয়ে পড়া এবং জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের চেয়েও বেশি হয়েও এসব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না বাঙালিরা।

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোড ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যানের পরের স্থানে একজন করে সেনা কর্মকর্তা নিয়োগ দিলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে শুধুমাত্র চাকমারা পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট জনগোষ্ঠীর ২৭% আর সারাদেশের মূল জনগোষ্ঠীর থেকে ১% এর কম হয়েও চাকমা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার হার ৭৪% আর সারা বাংলাদেশের শিক্ষার হার ৭৩%। তাহলে চাকমারা সারা বাংলাদেশের শিক্ষার হারের চাইতেও তারা এগিয়ে গিয়েছে শুধু মাত্র কোটা সুবিধার কারণে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালিরা।

অন্য দিকে বাঙালিরা পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট জনগোষ্ঠীর ৫১% হয়েও শিক্ষার হার ২৪%। তাই শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত পক্ষে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হলো অ-উপজাতি তথা বাঙালিরা।

সরকারের উচিৎ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে যারা এগিয়ে বেশী গিয়ে গেছে তাদের সকল কোটা বাতিল করে বাঙালিসহ অন্যান্য পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র–জাতি ম্রো, খেয়াং, চাক, বম, লুসাই, পাংখোয়াদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি কোটা ও চাকরি সুযোগ সুবিধা দেওয়া।

অন্যান্য বক্তারা বলেন- শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হচ্ছে। অবিলম্বে সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যানুপাতে সকল সুযোগ-সুবিধা বণ্টন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে একজন বাঙালি চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড