মো. মাহাবুবুর রহমান রানা, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উত্তর কাউন্নরা নামক গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে প্রাচীনতম একটি খাল। তবে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন খালটি দখল করে, খালের প্রায় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নির্মাণ করেছে বসতবাড়ি ও বাঁধ। ফলে বর্ষা মৌসুমেও খালটি থাকে পানি শূন্য।
খালটির বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁধ ও বাড়িঘর নির্মাণ করায় বর্ষা-মৌসুমিও পানি ঢুকতে এবং বের হতে পারে না ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে শতাধিক কৃষক পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খালটি পূর্ব-কুষ্টিয়া হয়ে উত্তর কাউন্নরা দিয়ে সাটুরিয়া চন্দ্রখালী নদীর সাথে মিশেছে। এক সময় এই খাল দিয়ে ছোট-বড় অনেক নৌকা চলাচল করত যার মাধ্যমে বহন করা হতো বিভিন্ন মালপত্র। এছাড়া কৃষকের শস্য উৎপাদনে এই খালের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেই খাল এখন দখলদারদের হাতে জিম্মি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাটুরিয়া উওর কাউন্নরা গ্রামের সিনেমা হল রুটের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটিতে বসবাসকারীরা প্রথমে বাশের সাঁকো করে নির্মাণ করে পারাপার হতো।এরপর তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাটি ফেলে ভরাট করে।খালের মধ্যে প্রায় ৩০টি বাঁধ দিয়ে খালের পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।বসবাসরত মানুষের ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে খালটিকে। ফলে জমানো পানি দুর্গন্ধ হয়ে পরিবেশ দূষণের কবলে পরেছে এলাকার হাজারও মানুষ।
সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সামাদ, মোকাদছ আলী, শাহ-আলম ও তানি আলমরা খালে বাঁধ ও ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দখল করে রেখেছে।
সাটুরিয়া ৬ নম্বর ইউপি সদস্য মো. শহর আলী বলেন, খাল দখল করে পূর্ব-কুষ্টিয়া থেকে সাটুরিয়া বাজার পর্যন্ত খালের উপর ৩০টি বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ইউএনও ও সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তাকে একাধিকবার বলেছি। প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনো কাজে আসেনি। দখলদাররা দখল করেই চলছে।
সাটুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, খালটিকে দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করে এর স্বাভাবিক গতি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সাটুরিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আরা বলেন, খালের উপর অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে পানি চলাচল বন্ধ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ খালের উপর বাঁধ দিলে, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, খালটি কে কে দখল করে বাঁধ ও বাড়ি নির্মাণ করেছে তা সার্ভে করার জন্য সহকারী তহসিলদারকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড