রাকিব হাসনাত, পাবনা
‘ফুসফুসে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগী কিংবা কফে যক্ষ্মার জীবাণুবাহী ব্যক্তি যদি বিনা চিকিৎসায় থাকেন, তাহলে ওই ব্যক্তি বছরে অন্তত ১৫ জন মানুষকে যক্ষ্মার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত করেন। দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূলে প্রতিটি যক্ষ্মা রোগীকে দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা সম্পন্ন করতে হবে।’
গতকাল রবিবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টায় পাবনা শহরে মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত যক্ষ্মা রোগ নির্মূল ও প্রতিরোধে সাংবাদিকদের করণীয় শীর্ষক অ্যাডভোকেসি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির (নাটাব) উদ্যোগে আয়োজিত এবং পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী।
এতে বিশেষ অতিথি ও রিসোর্স পার্সন ছিলেন পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ কামাল ও জেলা নাটাবের সদস্য, সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী কামাল সিদ্দাকী।
আয়োজনটিতে স্বাগত বক্তব্য দেন- নাটাবের রাজশাহী বিভাগীয় মাঠ কর্মকর্তা শামীম রেজা। সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
সভায় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. জাহিদ কামাল জানান, ২০২২ সালে পাবনা জেলায় যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় ৪ হাজার ১০৯ জন। এর মধ্যে মারা যায় ৪৯ জন। আর ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত জেলায় যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৪৮ জন।
সভায় নাটাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে বছরে প্রতি লাখে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ২২১ জন। প্রতি বছরে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২৪ জন। বর্তমানে দেশে যক্ষ্মায় চিকিৎসার সফলতার হার ৯৪ শতাংশ। পুরোপুরি বিনা পয়সায় ধৈর্য নিয়ে ওষুধ খেলে যক্ষ্মা নির্মূল হয়।
স্বাস্থ্য নিয়ে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন সেটা বাস্তবায়ন ও দ্রুত সম্পন্ন করতে হলে প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মানুষকে বেশি বেশি সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হয় সভায়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড