আরিফ চৌধুরী, মহানগর (গাজীপুর)
গাজীপুরের টঙ্গীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা এ কে এম পলাশ জ্বলিলের হাতে লাঞ্ছিত হলেন গাজীপুর মহানগর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আসাদুল কবির।
গত মঙ্গলবার রাত বারোটার দিকে টঙ্গীর নতুন বাজার আওয়ামী লীগের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় সাংসদ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির সাথে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন দলীয় বেশকিছু নেতাকর্মী। এক পর্যায়ে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য গাড়িতে উঠলে দলীয় কার্যালয় থেকে প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে যান মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আসাদুল কবির।
পথিমধ্যে অসতর্কতা বসত পলাশ জ্বলিলের সাথে ধাক্কা লাগে। এরপর প্রতিমন্ত্রী চলে গেলে ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান পলাশ। এ সময় উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আসাদুল কবিরের উপর চড়াও হন কথিত ওই যুবলীগ নেতা। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা পলাশকে শান্ত করার চেষ্টা করলে আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তিনি। পরে বিভিন্ন স্থানে ফোন দিয়ে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে ঘটনাস্থলে আনেন পলাশ।
এ সময় উভয় পক্ষের ভিতরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দ্বীপ বলেন, প্রতিমন্ত্রী মহোদয় চলে যাওয়ার পর হাতাহাতির ঘটনা দেখতে পেয়ে দ্রুত উভয়পক্ষকে নিভৃত করি। কি কারণে ঘটনার সূত্রপাত সেটা জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে কথা হলে পলাশ জ্বলিল বলেন, মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি বড় ভাই ছোট ভাই একটু রাগারাগি হয়েছে। বড় ভাই একটু রাগারাগি করেছেন আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে এসেছি।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, দুইজনের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল নিজেরা সমাধান করে নিয়েছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড