খলিল উদ্দিন ফরিদ, ভোলা
চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষকেরা শসা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এবার প্রথম ধাপে শসার ভালো ফলন হয়েছে, তবে চওড়া দামে শসা বিক্রি করতে পরছেন না কৃষকেরা। ১ মন ৩৫০-৪০০ টাকা দামে শসা বিক্রি করে মুখ মলিন করে ঘরে ফিরছেন কৃষকেরা।
শসার দাম কমে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শত শত কৃষক। পচনশীল সবজি হওয়ার কারণে মজুত করার সুযোগ না থাকায় বাধ্য হয়ে কম দামে কৃষকদের শসা বিক্রি করতে হচ্ছে।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মাত্র ৪৬০ হেক্টর জমিতে শসার চাষ হয়েছে।
কৃষক আহম্মদ উল্ল্যাহ জানান, ৯০ শতক জমিতে শসা চাষ করছি। গত বছরে কৃষকরা বেশি দামে শসা বিক্রি করেছে। তাই এবারো বেশি দামে শসা বিক্রি করতে পারবো এই আশা নিয়ে শসা চাষ করেছি। তিনটি ধাপে শসা বিক্রি করেছি দাম ভালো পায়নি।
কৃষক নাছির উদ্দিন জানান, ৮০ শতক জমিতে শসা চাষ করতে যে টাকা খরচ হয়েছে, তার অর্ধেক টাকায় শসা বিক্রি করেছি। দাম কমে যাওয়ায় খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
কৃষক কালিমুল্ল্যাহ জানান, গত বছরে ৪০ শতক জমিতে শসা চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। তাই এবার আগ্রহী হয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে ৮০ শতক জমিতে শসা চাষ করে প্রথম ধাপে মন ১৬০ টাকা দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যে দামে শসা বিক্রি হচ্ছে এতে আড়ৎ পর্যন্ত আনতে গাড়ি ভাড়া ও লেভারের খরচ হয় না।
পাইকারি আড়তের ব্যবসায়ী মাইনুদ্দিন জানান, বাজারে শসা আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কম।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, এ বছর উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ৪৬০ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। প্রান্তিক কৃষকদের আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছি।
শসার ভালো ফলন হয়েছে কিন্তু শসার দাম কমে যাওয়ায় কৃষকেরা সামনের বছর শসা চাষে আগ্রহ হারাতে পারেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড