আলমগীর হোসেন, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের ইউনিয়নের মোহরার লোকমান হোসেনের ফসলি জমি দখল করে পেঁপে ও সবজি বাগান সৃজন করার অভিযোগ ওঠেছে চরভূতা গ্রামের প্রজেক্ট ম্যানেজার হুমায়ুন কবির সবুজের বিরুদ্ধে জবর দখলবাজ হুমায়ুন কবির সবুজ ভবানীগঞ্জ গ্রামের মতলব বেপারি বাড়ির মৃত মতলবের পালিত পুত্র।
অভিযুক্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে চরভুতা গ্রামের নোবেলজেক্ষুউপ্র সেচ প্রকল্প, ২০২০ - ২১ অর্থ বছরের বিএডিসির প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। তিনি এর আগে কাঁচা ও পাকা ড্রেনের দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এক হাজার পেঁপে গাছের ছায়ার কারণে কৃষকের ফসল উৎপাদনে ব্যাহত হচ্ছে।
বিএডিসির ২০২০- ২১ অর্থ বছরের ক্ষুদ্র সেচ পাম্প কৃষি উন্নয়নের তিন ফুট মাটির নিচ দিয়ে পাইব লাইন সম্প্রসারণ করা হয়। এতে বিধি অনুযায়ী পুরাতন পাকা ড্রেনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কৃষকের ফসলি জমি থেকে পুরাতন ড্রেনটি ভেঙ্গে ফেলে কৃষকদের ফসল রোপণের সুযোগ দেয়ার কথা থাকলেও বিএডিসি লক্ষ্মীপুরের গাফিলতির কারণে তা করা হয়নি।
এলাকায় আত্মগোপনে থেকে সবুজ পুরাতন পাকা ড্রেনের দুই পাশে প্রায় এক হাজার পেঁপে গাছ, পালং শাক, পুঁইশাক, লাল শাক, শিম, বেগুন, টমেটো, মুলা, লাউ, কুমড়ো, কলা গাছ রোপণ করে প্রায় ৩ বছর ধরে সবজি ও পেঁপে বাগান সৃজন করে প্রতি বছরে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করে যাচ্ছেন হুমায়ুন কবির সবুজ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় জমির মালিক লোকমান হোসেন (৭৫) তার ২৫ শতক জমি থেকে পাকা ড্রেনটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা বিএডিসির প্রকৌশলী মামুনুর রশিদকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির সবুজের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
লোকমান হোসেন বলেছেন, ৩০ বছর আগে ২১৭নং চরভুতার মৌজার ১১৭৯নং খতিয়ানে ৬৫০৪ দাগে এক আনা ৫০ শতক এবং ৬৫০৬ দাগে ১ আনা ৫০ একুনে ১০০ ডি ভূমি থেকে ২০ শতক জমি প্রজেক্টের পাকা ড্রেনের ব্যবহৃত হয়।
তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালে পাকা ড্রেনটি বাতিল করে নতুন প্রজেক্ট পানির পাম্প মাটি নিচ দিয়ে সম্প্রসারণ করা হয়। এরপর থেকে পাকা ড্রেনের দুই পাশ দখল করে পেঁপে বাগান, সবজি বাগান করে আসছে। আমি জমি ছেড়ে দিতে বললে সবুজ আমাকে হুমকি, ধমকি দিয়ে আসছে। আমার জমিতে অবৈধভাবে গত তিন বছর দরে সবজি ও পেঁপে বাগান করে কয়েক লাক টাকা আয় করে আসছে।
অপর দিকে পাকা ড্রেনের দুই পাশে এক হাজার পেঁপে গাছের ছায়ার কারণে আউস, আমন, ধানের উৎপাদন ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনের মাধ্যমে আমার জমি উদ্ধার চাই । সবুজ আমার সামনে আসে না। সে আত্মগোপন করে থাকে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের উপ প্রকৌশলী মামুন জানিয়েছেন, পুরাতন পাকা ড্রেনটি সকল কৃষকরা চাইলে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড