কাজী কামাল হোসেন, ব্যুরো প্রধান (রাজশাহী)
নওগাঁর সাপাহারে একটি মাদরাসায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের টাকা থেকে উপবৃত্তি চালু করা হয়েছে। উপজেলার খঞ্জনপুর তালকুড়া লতিফিয়া আলিম মাদরাসায় এবতেদায়ি শাখার ২৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে ইতোমধ্যে এই এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার সরেজমিনে উপজেলার খঞ্জনপুর তালকুড়া লতিফিয়া আলিম মাদরাসায় গিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে সরকারি ভাবে উপবৃত্তি চালু থাকলেও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য এখনো চালু হয়নি উপবৃত্তি। যার ফলে মাদরাসার এবতেদায়ি শাখায় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কম হয়ে থাকে।
আবার দেখা যায়, কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও উপস্থিতির হার সন্তোষজনক হয় না। এছাড়া আরও কিছু কারণ চিহ্নিত করে মাদরাসায় শিক্ষার্থী ভর্তি এবং ক্লাসে উপস্থিতি বাড়াতে বেতন স্কেল অনুযায়ী প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা তুলে একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন মাদরাসার ২০ জন শিক্ষক এবং ছয়জন কর্মচারী।
সেই তহবিলের অর্থ থেকে অন্যান্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মেই এবতেদায়ি শাখায় উপবৃত্তি প্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান এবং গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি সহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় মাদরাসাটিতে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং ক্লাসে উপস্থিতি হার বেড়েছে। এছাড়াও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্লাসে উপস্থিতি বাড়াতে নিয়মিত হোম ভিজিট, মা ও অভিভাবক সমাবেশ এবং ইন-হাউজ মিটিং করা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষকরা।
এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে আমরা শিক্ষক-কর্মচারী মিলে নিজেদের বেতন থেকে কিছু টাকা দিয়ে একটি তহবিল গঠন করেছি। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে প্রধান করে তিন সদস্যের পরিচালনা কমিটি সেই তহবিলের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে গত শিক্ষা বর্ষে মাদরাসায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও চলতি শিক্ষা বর্ষে শিক্ষার্থী বেড়ে ৪৫০ জন হয়েছে জানিয়েছেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল মাতিন।
মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দীন বলেন, প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে শতভাগ উপবৃত্তি চালু থাকলেও মাদরাসাগুলোতে এখনো উপবৃত্তি চালু করা যায়নি। আমি ছয় মাস হলো মাদরাসাটির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই মাদরাসায় এবতেদায়ি শাখায় উপবৃত্তি চালু করতে পেরেছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবীর বলেন, মাদরাসাগুলো এমনিতেই শিক্ষার্থী তেমন পায়না। যদি শিক্ষার্থী বাড়াতে উদ্যোগ নিয়ে থাকে সেটা করতে পারে। কিন্তু খঞ্জনপুর তালকুড়া লতিফিয়া আলিম মাদরাসা এমন উদ্যোগ নিয়েছে কিনা আমার জানা নাই। তবে, কোন প্রতিষ্ঠান যদি প্রতিষ্ঠানের মঙ্গলের জন্য উদ্যোগ নিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই সেটা পজিটিভ হিসেবে ধরে নিব।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড