• বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯  |   ২৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

স্কুল বন্ধ রেখে শিক্ষকদের কক্সবাজার ভ্রমণ : ব্যাহত পাঠদান

  তন্ময় সাহা, রায়পুরা (নরসিংদী)

৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৩১
স্কুল বন্ধ রেখে শিক্ষকদের কক্সবাজার ভ্রমণ : ব্যাহত পাঠদান
মাহমুদাবাদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ (ছবি : অধিকার)

নরসিংদীর রায়পুরায় বিদ্যালয় বন্ধ রেখে শিক্ষকদের কক্সবাজার ভ্রমণে অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার ও সোমবার (২৯-৩০ জানুয়ারি) মোট দুইদিন স্কুল বন্ধ রেখে উপজেলার মাহমুদাবাদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার স্কুল চলার নির্ধারিত সময়ে গিয়ে দেখা গেছে- বিদ্যালয়ে পাঠদানের বদলে বিদ্যালয়ের দরজায় ঝুলছে বড় বড়সব তালা।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও নরসিংদী-৫ রায়পুরা সংসদীয় আসনের ছয় বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর নামে উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকায় ২০০০ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন এমপি রাজু'র সহধর্মিণী কল্পনা রাজিউদ্দিন।

অভিযোগ রয়েছে- সভাপতি কল্পনা রাজিউদ্দিনের নাম ভাঙিয়ে কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই নিজ ইচ্ছা মতো বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ফারুক মিঞা। তার ভয়ে অন্যান্য শিক্ষক কিংবা উপজেলার শিক্ষা অফিসার পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ফারুক মিঞার বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক সদস্য জানান, স্কুল বন্ধ রেখে ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি, অফিসিয়ালভাবে আমি কোনো কিছু জানি না। এটা স্কুল কর্তৃপক্ষ করতে পারে না। এতে করে তো শিক্ষার্থীরা পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটাতো এক ধরনের গরহিত কাজ।

আরেকজন অভিভাবক বলেন- স্কুল প্রধান এবং অন্যরা ঢালাও ভাবে স্কুল বন্ধ করে কোনো কিছু করার ইখতিয়ার আছে বলে আমি মনে করি না। বাকি কি আছে না আছে তা উপর মহলই ভালো জানে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ফারুক মিঞার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছেন এমনটা স্বীকার করে বলেন, সরকার নির্ধারিত তিনদিনের সংরক্ষিত ছুটি থেকে দুইদিন ব্যয় করেছি। আর এই সফরে আমাদের সাথে স্কুলের সকল শিক্ষক মণ্ডলীরা আছে। ঘুরতে যাওয়ার বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা অবগত কি-না বা তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যান। বলেছেন, ইদের ছুটি যে রকম, পুজার ছুটি যে রকম এটা তো ওই রকমই। এটা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহোদয় নিতে পারেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কল্পনা রাজিউদ্দিন বিষয়টি অবগত আছেন কি-না সে বিষয়ে জানতে তাকে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়ে উঠেনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সামালমগীর আলম বলেন, ওনি আমাদের কাউকে কিছু না বলে আমাদের অনুমতি না নিয়ে নিজ ইচ্ছা মতো কাজ করছেন। ওনার বিরুদ্ধে এটা ছাড়াও অনেক অভিযোগ রয়েছে। যে ছুটিটি ওনি নিয়েছেন সেটি তিনি নিতে পারেন, কিন্তু এটার একটা প্রক্রিয়া রয়েছে। তিনি সে প্রক্রিয়াটি তিনি না মেনেই কাজ করেছেন।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড