কাজী কামাল হোসেন, ব্যুরো প্রধান (রাজশাহী)
নওগাঁয় অবারিত মাঠ জুড়ে সরিষার ক্ষেত। দৃষ্টি জুড়ে হলুদের সমারোহ। কৃষকের বুকে লালিত সফলথার স্বপ্ন। সেই সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্নে বিভোর মৌয়ালরা।
তেমনই একজন মৌয়াল হারুন রশিদ। তিনি সরিষার ক্ষেতের পাশে মৌবাক্স পেতে মৌমাছি পালন এবং মধু আহরণ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। মাত্র তিন সপ্তাহে প্রায় চার লক্ষ ৮০ টাকার মধু আহরণ করছেন।
নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে মান্দা উপজেলার সাতবাড়িয়া মাঠে সরিষা ক্ষেতের সাথে ২০০টি বাক্স স্থাপন করেছেন। প্রতিটি বাক্সে একটি করে রাণী মৌমাছি বসিয়ে দিয়ে মৌমাছি চাষ করেছেন। প্রতিটি বাক্সে ৩/৪টি করে চাক স্থাপন করেছেন। এখন থেকে ১৫ দিন আগে এসব চাক স্থাপন করেন।
প্রতিটি বাক্স থেকে প্রতি ৮ দিন পর মধু আহরণ করা হয়। প্রতি ৮ দিনে এসব বাক্স থেকে কমপক্ষে ৮০০ কেজি মধু আহরিত হয়। সোমবার পর্যন্ত ১৫ দিন অর্থাৎ দুই সপ্তাহে ১৬০০ কেজি মধু আহরিত হয়েছে।
হারুন রশিদ জানিয়েছে, তিনি সরিষার ফুল থাকতে থাকতেই আর এক সপ্তাহ মধু আহরণ করতে পারবেন। মানে তিনি আরও ৮০০ কেজি মধু আহরণ করবেন। সেই হিসেবে এই সিজনে তার মোট মধু আহরিত হবে ২৪০০ কেজি।
আহরিত মধু তাদের নির্ধারিত মধু ব্যবসায়ী কোম্পানির নিকট ছাড়াও তার এই খামার থেকে প্রচুর সংখ্যক সাধারণ ক্রেতারা খুচরা মধু ক্রয় করে থাকেন। প্রতি কেজি মধু ২০০ টাকা হারে বিক্রি করছেন। সেই হিসেবে উক্ত হারুন রশিদ এই একটি স্পট থেকে মাত্র ৩ সপ্তাহে আয় করছেন ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এখানে মধু আহরণ শেষ করে তিনি যাবেন ফরিদপুরে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেছেন, নওগাঁ জেলার কৃষকরা ক্রমেই সরিষা চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এসব সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌবাক্স পেতে মধু আহরণ করে এক শ্রেণির মৌয়ালরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এটি আয়ের একটি ভালো পথ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড