• শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন

সর্বশেষ :

sonargao

‘চেয়ারম্যান আমাকে মারধর করে গায়ের ব্লাউজ ছিঁড়ে ফেলেছে’

  সাইফুল ইসলাম, শরীয়তপুর

২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:১২
‘চেয়ারম্যান আমাকে মারধর করে গায়ের ব্লাউজ ছিঁড়ে ফেলেছে’
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও ভুক্তভোগী নারী (ছবি : অধিকার)

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক নারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভেদরগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি বিকালে উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটলে রাতেই চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

মারধরের শিকার মায়া নামের ওই নারীর বাড়ি নারায়নপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পুটিয়া গ্রামে। তার স্বামীর নাম আহাম্মেদ আলী খান।

থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ ও জিডি সূত্রে জানা গেছে, মায়া তার মেয়ে হুমায়রা (২০) তার স্বামী রবিন খান, একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইকর কান্দি বিয়ে দেয়ার সুবাদে তিন মাস আগে মাতৃত্বকালীন কার্ডের জন্য নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের মাধ্যমে চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন কাছে আইডি কার্ডের জন্য আবেদন দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান তার মেয়ের আইডি কার্ড নিয়েও কার্ড করে দেননি।

পরবর্তীকালে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডের জন্য মেয়ের সাথে চেয়ারম্যানের পরিষদে যাওয়ার অপরাধে তার মেয়ের হাত থেকে আইডি কার্ড নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে ওই নারীকে মারধর করেন চেয়ারম্যান। ওই নারী স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। পরে তিনি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

নির্যাতনের শিকার মায়া বেগম বলেছেন, মেম্বারের মাধ্যমে চেয়ারম্যান কার্ডের জন্য তিন হাজার টাকা চান। সুদে তিন হাজার টাকা নিয়ে মেম্বারের মাধ্যমে আমার মেয়ে হুমায়রা ও আমি চেয়ারম্যানের পরিষদে ভাতার কার্ডের জন্য গেলেই চেয়ারম্যান আমাকে ও আমার মেয়েকে মারধর করেন। মারধর করে আমার গায়ের ব্লাউজ ছিঁড়ে ফেলেছে। আমরা গরিব মানুষ। কার্ড না দিলে আর কি করার আছে। আমি গরিব বলে চেয়ারম্যান আমাকে মারধর করতে পারেন না। আমি এর বিচার চাই। বিচার চাইতে থানায় আসছি।

নারায়নপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা তরুণ মোড়ল বলেছেন, আমাদের এলাকার মায়া বেগম ও তার মেয়ে হুমায়রাকে সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান তার পরিষদে মারধর করেছে। এটা খুব ন্যক্কারজনক কাজ। আমি এলাকাবাসী হিসেবে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন আমি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলাম তাই পরিষদে যেতে পারিনি। তবে শুনেছি মাতৃত্বকালীন ভাতা নিয়ে মায়া নামে এক নারীর সাথে চেয়ারম্যানের জগরা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নারায়নপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের মোবাইলে বার বার ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার ফোন ও মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

ভেদরগঞ্জ থানার ওসি বাহালুল খান বাহার বলেন, নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মায়া বেগম নামে এক নারী একটি লিখিত অভিযোগ ও জিডি করেছেন। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড