হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম
কনকনে ঠাণ্ডায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তরের এই জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করায় চরম বিপাকে পড়েছে সেখানকার মানুষজন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান শৈত্য প্রবাহে সূর্যের দেখা না মেলায় ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে কনকনে ঠাণ্ডার মাত্রা।
এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে চরম শীতজনিত দুর্ভোগে ভুগছে ছিন্ন ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। কনকনে ঠাণ্ডায় কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। তাপমাত্রা দীর্ঘ সময় নিম্নগামী থাকায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শীত জনিত রোগ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বৃদ্ধরাও।
কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নেয়া ৩৮ জনের মধ্যে ৩৩ জনই শিশু। এ দিকে শিশু ওয়ার্ডে ৪৮টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬২ জন শিশু, এছাড়াও সাধারণ ওয়ার্ডে ৭৮টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় দ্বিগুণ রোগী।
প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে অন্তত ১৮শ থেকে ১৫শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চ:দা:) তুহিন মিয়া জানান, গত ৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার তাপমাত্রা অবস্থান করেছিল ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে। গত ১৬ জানুয়ারি তাপমাত্রা একটু উচ্চগামী থাকলেও মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ও সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুর রহমান সরদার শিপন বলেন, শীতের শুরু থেকেই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। তবে আমরা এই রোগীর চাপ সামাল দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, কুড়িগ্রামে শীতার্ত মানুষের জন্য নতুন করে ৯টি উপজেলায় দুই লক্ষ টাকা করে মোট ১৮ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড