রফিক, গাইবান্ধা
দেশের উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় শীত প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। শীতের ঋতুর পৌষ মাসের শেষ, মাঘের শুরুতেই কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। ঘন কুয়াশায় সকাল ১১টা পর্যন্ত আকাশ আচ্ছন্ন থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সূর্যের মুখ দেখা দিলেও তাপমাত্রা অনেক কম। ফলে শীতজনিত রোগ বাড়ছে। শিশুদের নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও আক্রান্ত হচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটকের সামনে অটো রিকশার ভিড়। টিকিট কাউন্টারে রোগীর আত্মীয়-স্বজন অপেক্ষমাণ। চিকিৎসকের কক্ষের সামনে রোগীদের দীর্ঘ লাইন। নিচতলা আর দ্বিতীয় তলায় রোগীরা গাদাগাদি হয়ে আছে। বান্দায় শয্যা বসানো হয়েছে। অনেকেই গরম কাপড় দিয়ে শিশুদের মুড়ে রাখছেন। আবার তাদের কাউকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ড ও শিশু ওয়ার্ডে একই অবস্থা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন এমতেই এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০শ রোগী চিকিৎসা নিতে আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শীত জনিত রোগে ২৭ জন ভর্তি হয়েছে। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২শ ৫৫ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। ডায়রিয়ায় রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৭ জানুয়ারি একজন শিশু মারা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পলাশবাড়ী উপজেলার পারবাবুনিয়া গ্রামের এরশাদ মিয়ার বলেন, গত সাতদিন থেকে ৪ মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি। ঠাণ্ডার কারণে আমার শিশু সন্তানের শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসার পর এখন অনেকটাই সুস্থ।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) তাহেরা আকতার মনি, বলেন শীতের কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া,সর্দি, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি বয়স্ক মানুষরা আক্রান্ত হচ্ছেন। যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড