আল-মামুন আকন্দ, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মাঘ মাসের শুরুতেই ঘনকুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষাণ-কৃষাণিরা নিজেদের খাবার জোগাড় করতে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা ক্ষেতে পানি সেচের জন্য শ্যালো মেশিনে সেচ দিচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ সীমান্তবর্তী আদিবাসী অঞ্চলগুলোতে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।
এ নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার পাঁচশ ৮০ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত রোপণ হয়েছে প্রায় ছয় হাজার হেক্টরের মতো। উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর, গাওকান্দিয়া, চণ্ডীগড়, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ধুম পড়েছে বোরো আবাদের। স্থানীয় জাতের বীজের চেয়ে হাইব্রিড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন এলাকার কৃষকগন।
গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষক এইচ এম সাইদুল ইসলাম বলেন, আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় এবার আগে-ভাগেই ধানের ক্ষেত তৈরি করে চারা রোপণ শুরু করেছি, এখন পর্যন্ত সার, কীটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পরতে হয়নি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় বোরো আবাদ ভালো করার জন্য সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র এলাকায় গত আমন ফসল বাম্পার হওয়ায় খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। আশা করছি এবারও বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার পাঁচশ ৮০ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার হেক্টরের মতো রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন কৃষকগন।
তিনি আরও বলেন, এবার শৈত্য প্রবাহ, ঘন কুয়াসা ও হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেও বীজ তুলার কোনো ক্ষতি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইরি-বোরো চারা রোপণের লক্ষ্য মাত্রা শেষ করা যাবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড