আলমগীর হোসেন, লক্ষ্মীপুর
এক কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হাফিজ উল্যাহ বাহাদুর মাঝি নামে এক বৃদ্ধকে ফের গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি ৮৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দে র্যাবের দায়ের করা মামলায় তিনি পলাতক ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাহাদুর পূর্ব চররমনী মোহন গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে একই এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। টেকনাফ সীমান্ত থেকে সমুদ্রপথে মাছ ধরার ট্রলারযোগে ইয়াবাগুলো নিয়ে আসা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, গত ৩ জানুয়ারি ভোর রাতে র্যাব সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নে মধ্য চররমনী মোহন গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিবের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৮৫ হাজার ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এ সময় মনির, গ্রাম পুলিশ সদস্য মো. ইব্রাহিম ও যুবলীগ নেতা আমির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরদিন পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার (ডিএডি) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাহাদুর মাঝি ও আব্দুর রহমান নামে দুইজন পলাতক ছিলেন।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতার বাহাদুরকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার বেলা ১২ ঘটিকার দিকে তাকে আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গ্রেফতার মনির চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ও জেলা পরিষদের সদস্য আলমগীর হোসেনের ভাগিনা। একই সঙ্গে ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মো. ইব্রাহিম ও যুবলীগের সদস্য আমির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড