কামরুজ্জামান সেলিম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে গত চারদিন ধরে বয়ে চলা টানা শৈত্যপ্রবাহের পর আজ মঙ্গলবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছিল। যদিও এদিন সকাল ৯টায় আবার তা কমে ৮.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল সোমবার এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গতকাল সকালে ১০ টার দিকে সূর্যের দেখা মিললেও ছিল না কোনো উত্তাপ। হিম শীতল বাতাসে শীতের তীব্রতা জানান দিচ্ছে কয়েকগুণে। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না জনসাধারণ। যারা বের হচ্ছে তারাও গরম কাপড় পরে শীতের প্রস্তুতি নিয়েই বের হচ্ছে। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। টান পড়ছে আয় রোজগারে।
হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছে সবচেয় বেশি।
এছাড়া তীব্র শীতে কৃষকের ধান, গম ও আলু রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে চলতি মৌসুমে ফলন বিপর্যয়ের আশংকা কৃষকের।
এ দিকে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছে।
প্রকৃতির এমন বৈরী আচরণে কষ্ট ও দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। ভোর থেকে কাজের সন্ধানে অপেক্ষা করেও মিলছে না কাজ। ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়িতে। সরকারি সহযোগী আশায় চেয়ে আছেন তারা। একেবারে স্থবির হয়ে পড়েছে এ অঞ্চল।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, গেল চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছ। গতকাল সোমবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লে তা আজ আবার কমেছে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এ মাসে আরও দুটি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড