• শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯  |   ২২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

খাল খননে বদলে গেছে গ্রামের চিত্র

  আলমগীর হোসেন, লক্ষ্মীপুর

০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:২৩
খাল খননে বদলে গেছে গ্রামের চিত্র

আবর্জনা ও পলিমাটিতে ভরাট হয়ে নালায় পরিণত হয়েছিল চান্দিনার বিল খালটি। পাড়ে গাছ-গাছালি ও লতাপাতায় হাঁটা যেত না। অনেক স্থানে জোয়ার-ভাটার পানি আসা-যাওয়া ছিল বন্ধ। এতে খালের পাশে আবাদি অনেক জমি জলাবদ্ধতায় অনাবাদী হয়ে পড়ে।

কিন্তু সেই চিত্র এখন বদলে গেছে। খালটি খননের মাধ্যমে প্রশস্ত করা হয়েছে। দুই পাড়ে মাটি দিয়ে বাঁধাই করে তৈরি করা হয়েছে হাঁটার রাস্তা। সহজে জোয়ার-ভাটার পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হামছাদী ইউনিয়নের ৭নং ওয়াডের পিটু খালের শাখা কুমার বাড়ি হইতে কুল্লার পুকুর হয়ে মোল্লার পোল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার খাল খনন করেন ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন।

২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা খরচ করে এ খাল খনন করেন সাহাবুদ্দিন। দীর্ঘ ১০০ বছর পর দেড় কিলোমিটার খাল খননের ফলে ৩০ হাজার জনবসতির এলাকায় এই চিত্র বদলে দিয়েছে। এতে খালের পাড়ের পাশের অনেক অনাবাদী জমিতে এখন আবাদ হচ্ছে। পাড় দিয়ে গ্রামের মানুষ হাঁটাচলা করছে অনায়াসে।

হামছাদী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন,মেম্বার শাহাবুদ্দিনে উদ্যোগে খাল খনন করে স্থানীয় এলাকাবাসীর কৃষি উন্নয়নে ব্যাপক কাজ হবে। গত এক শতক ধরে খালটি মরা ছিল, খালটি ১৭ দিনে খনন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

সদর উপজেলা আ. লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ হোসেন বিনু জানিয়েছেন, মরা খালটি খনন করে জীবিত করার জন্য সাহাবুদ্দিন মেম্বারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, খালটি আশেপাশে চিত্র বদলে গেছে এটি একটি মহত উদ্যোগ।

হামছাদী গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, নুরুল উল্লাহ বলেন, চান্দীনাবিল খালটি ১০০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি, বেড়ির পশ্চিমের খালটি সাহাবুদ্দিন মেম্বারের নিজ খরচে খনন করা হয়। এতে খালের আশেপাশের প্রায় ৩০ হাজার জন বসতি, উপকারভোগী কৃষক উপকৃত হবে, কৃষক বর্ষার পরেও শীত মৌসুমে পানি পাবে, এক সময় পানির কারণে কৃষক ফসল রোপণ করতো না। খাল খননের ফলে কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটে উঠেছে। খালে পানি ফিরতে শুরু করছে, কৃষকেরা ফসল রোপণ করতে শুরু করছে। মেম্বারের এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

মেম্বার শাহাবুদ্দিন বলেন, পিটু খালের শাখা কুমার বাড়ি হইতে কুল্লার পুকুর হয়ে মোল্লার পোল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার খাল খনন করতে আমার ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এটি আনুমানিক ১০০ বছর আগে একবার খনন করা হয়েছিল। খালটি পলি জমে জমে নালায় পরিণত হয়। বড় খালগুলো অনেক দূরে হওয়ায় এই খাল দিয়ে জোয়ার-ভাটার পানি চলাচল করতে পারত না। এতে বর্ষায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে খালের দুই পাশে শত শত একর জমি অনাবাদী থেকে যেত।

তিনি আরও বলেন, বর্ষায় গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো ডুবে থাকত পানিতে। দুই পাড়ে ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। শিমসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন। এই খাল খননে পুরো গ্রামের চিত্র পাল্টে গেছে। আমার এ উদ্যোগ দেখে প্রত্যেক গ্রামে ইউপি সদস্যেরা কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।

কৃষক রহিম, আজাদ জানিয়েছে গ্রামে অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা। এখানে বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। একমাত্র খালের সংস্কার না হওয়ায় এত দিন জোয়ার-ভাটার পানি চলাচল করতে পারত না। এতে খালের দুই পাড়ের পাশের জমিগুলো অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকত। খালটি খননের ফলে পানি চলাচল শুরু করছে এতে কৃষকেরা খুশি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড