সাগর মিয়া, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)
পুরাতন শাড়ী আর ভাঙাচোরা টিনের জোড়াতালির বেড়া, মরিচাধরা টিনের চালায় পলিথিনের চাউনি দিয়ে তৈরি নড়বড়ে ঘরেই দীর্ঘদিন ধরে দুই সন্তান স্ত্রী নিয়ে বসবাস করে আসছেন দিন মজুর রফিক। সারাদিন মাটি কাটার কাজ করে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসারই চলে না। তাই আর ঘর মেরামত করাও হয়ে উঠে না। তাই বসবাসের জন্য একটি ঘর চেয়ে ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
দিনমজুর রফিকের বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ধূলজুরী গ্রামে।
ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় বিদেশ যাওয়ার জন্য এক খণ্ড জমি বিক্রি করেও দালালের খপ্পরে পড়ে বিদেশ যেতে পারেননি। পরবর্তীকালে নিজের শেষ সম্বল জমিটুকু বিক্রি করে স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে দুবাই পাঠান। কিন্তু মাস না যেতেই জেসমিন কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ফিরে আসে দেশে। ফলে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ে রফিক ও জেসমিনের জীবন।
এ দিকে রফিক জেসমিন দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে উপজেলার হোসেনপুর সরকারি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলে জন্ম প্রতিবন্ধী। আর্থিক অভাব অনটনে ছেলের লেখাপড়ার খরচ ও পরিবারের ভরণ পোষণ করাই এখন অসম্ভব।
তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় এ ঘরের ভেতর থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ঝড় বৃষ্টি আসলে তো কথাই নেই। আশ্রয় নিতে হয় অন্যের ঘরে। শীত নিবারণের বস্ত্রও নেই তাদের।
রফিক ও জেসমিন দম্পতি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এমন ভাঙা ঘরেই বসবাস করে আসছি৷ আমাদের দুঃখ আমাদের কাছেই আছে। মাটি কেটে অল্প যে ইনকাম হয় তা দিয়েই আমাদের সংসার কোনো মতে চলে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া পারভেজ জানান, বর্তমানে ভূমিহীন ও গৃহহীন এমন প্রকল্প চালু রয়েছে কিন্তু ভূমি আছে গৃহ নাই এমন কোনো প্রকল্প নেই। যদি এমন কোনো প্রকল্প আসে তাহলে এ পরিবারটির নাম পাঠানোর ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড