সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ
একেতো শীত-তার ওপর কুয়াশা। দু’য়ে মিলে স্বাভাবিক কাজকর্ম যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। চাকুরিজীবীদের অফিস যাতায়াতে দুর্ভোগ-ফিরতে দুর্ভোগ। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে দুর্ভোগ। কৃষকদের ক্ষেত-খামারে কাজ করতে দুর্ভোগ। দিনমজুরদের দুর্ভোগ। নানা দুর্ভোগ আর কষ্টে দিন কাটছে দরিদ্র মানুষের। শীত আর কুয়াশা ছন্দপতন ঘটিয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহ যাবত জেলায় শীতের তীব্র প্রকোপ শুরু হয়েছে। শীতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিনভর কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ঠাণ্ডা বাতাস কাঁপিয়ে তুলেছে ছিন্নমূল মানুষগুলোকে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে পথে-ঘাটে থাকা মানুষগুলো দুর্বিসহ দিন পার করছেন।
বিশেষ করে রিক্সা-ভ্যান শ্রমিকরা জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছে। শীতজনিত রোগ-বালাই শুরু হয়েছে। শীতে শিশু-বয়োবৃদ্ধ বেশি কষ্টে ভুগছেন। ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে জেলায় ৪২০ জন ডায়রিয়া এবং ৬৪ জন শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ফরিদুল ইসলাম বলেন, শীতে তাপমাত্রা কমে যায়। এ সময় শিশুদের গরম কাপড় ব্যবহার, বাসি ও ঠাণ্ডা খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। নইলে শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া হতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান জানান, সরকারীভাবে বরাদ্দ জেলায় ৪৪ হাজার একশ কম্বল জেলার ৯টি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও এনজিওসহ অন্যান্য বরাদ্দ বাবদ প্রায় চার হাজার বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আরও ২০ হাজার কম্বলের জন্য চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড