শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে উল্টো স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মিথ্যা মামলা। আপোষের স্বার্থে স্বামীর জামিনের খবর পেয়ে স্ত্রী তার স্বামীকে পূর্বের মতো ঘর-সংসার করার কথা বলে মোবাইলে ফোন করে কৌশলে বাড়িতে ডেকে তার স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবকে ব্লেড দ্বারা গুরুতর জখম ও বিষ খেয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাঁশখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড খন্দকার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শহীদুল সরল ইউনিয়নের মিনজীরিতলা গ্রামের হাফেজ নুর হোছাইনের পুত্র। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় শহীদুলের পিতা নুর হোসেন বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত শহীদুলের স্ত্রীর বড় ভাই, বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. রাশেদুল ইসলামসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব থেকে সম্পর্ক থাকা এক ছেলের সাথে মোবাইলে পরকীয়ায় ধরা পড়ে স্বামী শহীদুলের কাছে তার স্ত্রী তছলিমা আক্তার মুন্নি। এ নিয়ে স্ত্রীকে চরিত্র সংশোধনের কথা বলে খোদ স্বামী শহীদুল। স্ত্রীকে তার চরিত্র সংশোধনের কথা বলেন তিনি। পরে আপোষে স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তা নিয়ে সৃষ্ট কলহের জের ধরে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শহীদুলের বিরুদ্ধে যৌতুকের ইস্যু তোলে মিথ্যা মামলা করেন স্ত্রী। গত ২২ ডিসেম্বর আপোষের স্বার্থে সেই মামলায় জামিন নেয় শহীদুল। পরে ২৪ ডিসেম্বর সকালে ঘটনার দিন কৌশলে তার স্ত্রী মোবাইলে ফোন করে শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে যাবে বলে ডেকে নিয়ে যান তিকে।
শহীদুল শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছামাত্র পূর্ব থেকে পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রীর ভাই ও মা সবাই মিলে বাড়ির ভিতরে ডুবিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে পুরো শরীরে ব্লেড দিয়ে গুরুতর জখম করে। আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে বিষ ঢেলে দেয়। পরে জোরপূর্বক মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এতে শহীদুল অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। নাক, মুখ দিয়ে ফেনা চলে আসে।
শহীদুলের পিতা নুর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, পরবর্তী আসামিদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী লোকজনের মারফত খবর পেয়ে তাকে জখমী ও হাতপা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। আসামীদের প্রভাবের কারণে বাঁশখালী হাসপাতাল প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাও দেয়নি তারা। পরে আশংকাজনক অবস্থায় চমেক নিয়ে যাই শহীদুলকে। শহীদুল এখন মৃত্যু শয্যায়।
এ দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধরের কথা অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ওল্টো সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বাঁশখালী পৌরসদর জলদীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শহিদুলের স্ত্রী তছলিমা আক্তারের বড় ভাই রাসেদুল ইসলামসহ পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার উত্তর জলদীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খন্দকার পাড়ার মোহাম্মদ নুরুল কাদেরের কন্যা তছলিমা আক্তারের সাথে দুই বছর আগে বিবাহ হয় মাওলানা শহীদুলের। তাদের সংসারে এক বছর তিন মাসের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড