মো. কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)
শুকনো মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে যায় মাটি কাটার প্রবণতা। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এ সকল স্থানেও মাটি ও পাহাড় কর্তনের প্রবণতা দেখা যায়। কিছু ভূমি দস্যু এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ সকল কাজ গোপনে করে থাকে।
যদিও এই মাটি কাটা ও পাহাড় কর্তনের বিরুদ্ধে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক নিয়মিতভাবে এ ব্যাপারে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছেন।
জানা গেছে, বিগত দুই মাসে চন্দনাইশে সর্বমোট ৭টি মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে এবং ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে প্রভাবশালী ভূমি দস্যুরা আতঙ্কে আছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার বলেন, এ সময়টাতে মাটি কাটার ও পাহাড় কাটার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়মিত মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছি। অভিযোগ পেলেই তৎক্ষণাৎ অভিযান চালাচ্ছি। গত দুই মাসে আমরা ৭টি মামলায় মোট ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। দুর্গম এলাকা হওয়ায় অনেক সময় আমরা দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে পাই না। তদুপরি আমরা সকল সময় মাটি কাটা এবং পাহাড় কাটার বিষয়ে তৎপর আছি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক বলেন, আমি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় সমন্বিতভাবে এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করছি। মাটি কাটা এবং পাহাড় কাটায় আমরা অত্র উপজেলায় ‘জিরো টলারেন্স’ পলিসি অবলম্বন করছি। দিন-রাত যখনই মাটি বা পাহাড় কাটার খবর আসছে আমরা তখনোই অভিযান পরিচালনা করছি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড