মনিরুজ্জামান, নরসিংদী
নরসিংদীর সদর উপজেলার মাধবদীতে জমির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধে বাগবিতণ্ডার জেরে এক মনির হোসেন (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মাধবদীর নুরালাপুর ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির স্বজনদের অভিযোগ- প্রতিবেশী চারজন মিলে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে মো. মনির হোসেন মোল্লাকে (৫০) হত্যা করেছেন।
নিহত মো. মনির হোসেন সদর উপজেলার মাধবদীর নুরালাপুর ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মো. সিরাজ মোল্লার ছেলে। তিনি মাধবদীর সোনার বাংলা মার্কেটে প্রসাধনী সামগ্রীর ব্যবসা করতেন।
হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন- নিহত মনিরের প্রতিবেশী আজিজুল প্রধান, তার ছেলে রাজ, দুই ভাতিজা সেলিম ও সানী। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের ওই গলি দিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করতে হয়। সম্প্রতি গলির মুখে যানবাহন চলাচল সীমিত করতে সিমেন্টের একটি খুঁটি বসানো হয়। মনির হোসেন সব সময় মোটরসাইকেলে চলাচল করেন। ওই খুঁটির কারণে মোটরসাইকেল বাড়িতে ঢোকাতে সমস্যা হতো। এ কারণে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুঁটিটি উঠিয়ে ফেলেন মনির।
এ নিয়ে প্রতিবেশী আজিজুল প্রধান, তার ছেলে ও দুই ভাতিজার সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রতিবেশী আজিজুল গং ক্ষুব্ধ হয়ে কাঠের লাঠি দিয়ে মনিরকে পেটানো শুরু করে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন মনিরকে উদ্ধার করে মাধবদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মনিরের ছেলে মারুফ মোল্লা বলেন, ঝগড়ার এক পর্যায়ে আব্বাকে চারজন মিলে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। আমি তাদের সরাতে গেলে আমাকেও পেটায় তারা।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিপাশা মাসুক বলেন, ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকীবুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড