আলমগীর হোসেন, লক্ষ্মীপুর
পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে মেসার্স হাজী হক ব্রিকস অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে পোড়ান হচ্ছে গার্মেন্টসের জুট এবং কাঠের ভুসি। ভাটার মালিক মহি উদ্দিনে কাছে জিম্মি হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে সুতার গোপ্টার এলাকার শত শত কৃষক। কৃষি উৎপাদন ব্যবহৃত হওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে কৃষক পরিবার। নেই কোনো প্রতিবাদ, প্রতিরোধ। পরিবেশ অধিদপ্তরের তদারকি।
দূষণের পাশাপাশি কৃষিজমিও নষ্ট হচ্ছে ইটভাটার কারণে। বায়ুদূষণের কারণে অত্র এলাকার মানুষের শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ফুসফুসে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়া ধুলাবালি থেকে অ্যালার্জি, চুলকানিসহ বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। কুষ্ঠ দায়ক হাঁপানি রোগ বেড়ে চলছে।
এইচ এইচ ব্রিকস জিকজাকের নামে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভাটার মালিক মহি উদ্দিন ভাটায় উচ্চ মাত্রার সালফার ব্যবহার করে যাচ্ছে। এছাড়া হাজী ব্রিকসে, টায়ার, প্লাস্টিক, কাঠের ভুসি, গার্মেন্টসের জুট ব্যবহার করা হচ্ছে এমনে অভিযোগ নাম প্রকাশ্যেই স্থানীয় এলাকাবাসীর। এতেও অনেক কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি হচ্ছে।
বায়ুতে মাত্রাতিরিক্ত সালফার ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতির কারণে মানুষ চোখ, নাক, গলাসহ অ্যাজমাটিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। মোটা দাগে বলা যেতে পারে, বায়ুতে দূষিত উপাদানের উপস্থিতিতে ফুসফুসে ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাবে মৃত্যুর হার বেড়ে যাচ্ছে।
সুতারা গুপ্ত এলাকার চরমনাসা গ্রামের কৃষক ও মেহনতি মানুষের দাবি অনুমোদন বিহীন মেসাস হাজী ব্রিকসে গার্মেন্টসের জুট, কাঠের ভুসি, ট্রাইয়ার, উচ্চমাত্রা সালফার ব্যবহার, ফসলি জমির মাটির উপরতা নষ্ট করা, ইটের ভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত করার অপরাধে বাটাটি বন্ধ করে দিয়ে হাজী ব্রিকসের মালিক মহি উদ্দিনকে আইনের আওতায় এনে জেল জরিমানা শাস্তি দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তারা।
পরিবেশের হারুনুর রসিদ পাঠান, জেলা প্রশাসক নির্বাহী অফিসারগন পরিবেশ অধিদপ্তরকে সহযোগিতা করে না।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড